পেইনকিলার ছাড়াই সারিয়ে তুলুন অসহ্য মাথাব্যাথা

অনিয়মিত খাদ্যভ্যাস, মাইগ্রেন, সাইনুসাইটিস এমন অনেক কারণেই মাথাব্যাথা হয়ে থাকে। কেউ কেউ মাথাব্যাথা থেকে রেহাই পেতে পেইনকিলারের দ্বারস্থ হন। কিন্তু বেশী পেইনকিলার খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিছু কিছু খাবার যেমন মাথাব্যাথা তৈরি করতে পারে, তেমনি কিছু খাবার মাথাব্যাথা কমাতেও সক্ষম। পেইনকিলারের বিকল্প হিসেবে চমৎকার কাজ করে সহজলভ্য এসব খাবার।

১০ মিনিটে সারিয়ে তুলুন অসহ্য মাথাব্যাথা

১) পালংশাক

পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাভিন, এক ধরণের ভিটামিন বি যা মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যাথায় কাজে দেয়।

২) তৈলাক্ত মাছ

তৈলাক্ত মাছ এবং সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। এদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্যাথা কমে আসে।

৩) তরমুজ

অনেক ক্ষেত্রেই পানিশূন্যতার কারণে মাথাব্যাথা বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে পানি পান করা যেমন উপকারি, তেমনি শসা বা তরমুজের মতো পানিযুক্ত ফল ও সবজিও উপকারে আসে। শুধু তাই নয়, শরীরের জন্য দরকারি ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সরবরাহ করে তরমুজ।

৪) আলু

মাথাব্যাথার জন্য পটাসিয়াম বেশ উপকারি। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে আমরা জানি, কিন্তু আলুও এক্ষেত্রে কম যায় না। মাঝারী আকৃতির একটি সেদ্ধ আলুতে থাকে ৯২৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, যা একটি কলায় থাকা পটাসিয়ামের প্রায় দ্বিগুণ।

৫) ক্যাফেইন

কফি বা চায়ের ক্যাফেইনে আসক্তি হয়ে যাবার ভয় থাকলেও, পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন মাথাব্যাথা কমাতে কার্যকরী। অনেক মাথাব্যাথার ওষুধেই অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। তবে ক্যাফেইনের ওপর বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়লে সমস্যা, তখন ক্যাফেইন গ্রহণ ছেড়ে দিলে দেখা দিতে পারে মাথাব্যাথা।

৬) কাঠবাদাম

কিছু কিছু গবেষণায় বলা হয় ম্যাগনেসিয়াম মাথাব্যাথার জন্য ভালো, যদিও এ ব্যাপারে শক্ত প্রমান নেই। ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস হতে পারে কাঠবাদাম।

মাথা ব্যথার সমস্যা অনেকেরই আছে, কারো মাইগ্রেন আবার কারো এমনিতেই। এই ব্যথা হুট করে শুরু হয়ে যায় এবং এতোটাই তীব্র যে কোনো কাজই ঠিক মত করা যায় না। মাথা ব্যথা কখনো মাথার এক পাশে আবার কখনো উভয় পাশেই প্রচন্ড চাপ অনুভূত হয়ে ব্যথা হয়। অনেকে দুচোখে ঝাপসা দেখে থাকেন এই সময়। মাথা ব্যথার, বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথার কোনো স্থায়ী উপশম নেই। তবে ব্যথা শুরু হওয়ার পর তা দ্রুত দূর করার জন্য করতে পারেন বিশেষ কিছু কাজ।

আদা চিবোন এবং আদা চা পান করুন
আদায় রয়েছে ‘প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সিনথেসিস’ যা অ্যাসপিরিন এবং ব্যথানাশক ঔষধে ব্যবহার করা হয়। তাই মাথা ব্যথা শুরু হওয়া মাত্র আদা ছিলে নিয়ে চিবনো শুরু করুন। এতে ব্যথা উপশম হবে দ্রুত। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা সামান্য ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে সামান্য মধু দিয়ে পান করতে পারেন আদা চা। এতেও দূর হবে মাথা ব্যথা দ্রুত।
 
পিপারমিন্ট অয়েল ম্যাসাজ করুন
বাজারে পিপারমিন্ট অয়েল কিনতে পাওয়া যায়। যারা মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা পিপারমিন্ট অয়েল হাতের নাগালে রাখতে পারেন। এছাড়া বাসায় তৈরি করতে পারেন পিপারমিন্ট অয়েল। কিছু তাজা পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে সামান্য পিষে নিন। এরপর এতে ১ কাপ অলিভ অয়েল কিংবা অ্যালমন্ড অয়েল দিয়ে রেখে দিন ২৪ ঘণ্টা। এরপর পুদিনা পাতা ছেঁকে তেল আলাদা করুন। এভাবে একই তেলে আবার একই ভাবে পুদিনা পাতা পিষে ২/৩ দিন একই পদ্ধতি পালন করুন। তৈরি হয়ে যাবে পিপারমিন্ট অয়েল। এই তেল দিয়ে মাথা ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দ্রুত দূর হয়।
কাঠবাদাম বাদাম খান
অনেকে মাথা ব্যথা শুরু হতেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে ফেলেন যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই ঔষধ না খেলে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তখন ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’ যা ব্যথা উপশমে কাজ করে।

Leave a Reply