বর্ষায় পায়ের বিশেষ যত্ন…

বৃষ্টিতে পড়তে হয় দারুন বিপাকে। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় ময়লা পানিতে পায়ের দুরাবস্থার বাকি থাকে না কিছুই। আঙুলের ফাঁকে জমে থাকা দূষিত পানি জীবানু সংক্রমণ ঘটায় সহজে। এতে পায়ের চামড়ায় চুলকানি, চামড়ায় ক্ষত সৃষ্টি হওয়া এবং নখ নষ্ট হওয়ার মতো নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সৌন্দর্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পায়ের যত্ন নেয়া চাই যথাযথভাবে। বাসায় ফিরে খুব ভালো করে পা পরিষ্কার করা উচিৎ।

হাঁটা পথ বা রিকশা-গাড়িতে উঠতে অনিচ্ছা সত্বেও নোংরা পানিতে পা দিতে হয়। তাই বের হওয়ার আগেই আবহাওয়ার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে পা মোড়ানো এবং অপেক্ষাকৃত উচু জুতা পরাই শ্রেয়, কেডস জাতীয় হলে আরোও ভালো। তবে পা যদি নোংরা পানিতে ভিজেই যায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নিজে নিজেই করতে পারেন এর যত্ন আত্তি।

বাসায় গিয়ে প্রথমে গরম পানির মধ্যে আধা চা চামচ শ্যাম্পু, একটু লবণ দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পায়ের চামড়া নরম হয়ে গেলে স্ক্রাবার বা ব্রাশ দিয়ে পা ঘষে পরিষ্কার করে নিন। বাজারে মাটির আথবা স্টিলের উপযোগী ঝামা কিনতে পাওয়া যায়, সেটা দিয়ে গোড়ালির নিচের অংশটুকু পরিষ্কার করতে ‍সুবিধা হয়। মরা চামড়া উঠাতেও বেশ কার্যকরী।

বাজারে মেনিকিউর, পেডিকিউর কিট কিনতে পাওয়া যায়। এতে নখ পরিষ্কার করার সামগ্রী থাকে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নখে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নখের চারপাশ পরিষ্কার করে নিন। লেবুর রসও খুব ভালো পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এরপর চালের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস, গাজরের রস ও মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। স্ক্রাবটি পায়ে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন আরও দশ মিনিট। হালকা শুকিয়ে এলে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন পাঁচ মিনিট। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে।

ফাংগাস সংক্রমণের হাত থেকে পায়ের সুরক্ষায় দুধ, মধু, লেবুর রস, মসুর ডালের ঘন পেস্টও বেশ কার্যকর। পায়ের যত্নে এই প্যাকটিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে পা যেন অনেক সময় ধরে ভেজা না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

Leave a Reply