বিশ্ব সেরা ৫টি ওম্যান পারফিউম

পৃথিবীতে পারফিউম বা সুগন্ধি পছন্দ করেন না এমন নারী-পুরুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। কি তারকা আর কি সাধারণ মানুষ; সারাদিনের কর্মব্যস্ততা আর ছোটাছুটিতে নিজেকে সতেজ আর প্রাণবন্ত রাখতে সবারই পারফিউম চাই-ই চাই। সুগন্ধিপাগল নারীদের জন্যই বিশ্ব সেরা ৫টি ওম্যান পারফিউম নিয়ে এবারের আয়োজন…

নারীদের সুগন্ধির কথা বললেই নিঃসন্দেহে প্রথম স্থানটি দখল করে আছে ডলসি অ্যান্ড গাব্বানা। গত দুই দশক ধরে পৃথিবীর শীর্ষ মডেল, তারকা, ডিজাইনার, রাজপরিবারের সদস্যা এবং ভিভিআইপি নারীদের প্রথম পছন্দ ডলসি অ্যান্ড গাব্বানার পারফিউম। অত্যন্ত দামি এই সুগন্ধির বিশেষত্ব হচ্ছে এর মাদকতা মেশানো মিষ্টি গন্ধ

এরপর আসতে হয় মিস দিওরের কথায়। বিখ্যাত এই ওম্যান পারফিউমটি সারাবিশ্বে ২০১১-১২ সালে ওম্যান সেক্সিয়েস্ট ফ্রেগন্যান্স হিসেবে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে। ১৯৪৭ সালে প্রথম বাজারে এসেছিল মিস দিওর লেডিস পারফিউম। এই সুগন্ধি বিশ্বের খুব অল্প দেশে পাওয়া যায়। তাও আবার ওয়ার্ল্ড মার্টের মতো নামকরা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই মেলে মিস দিওরের দেখা।

ওম্যান পারফিউমের ক্যাটাগরিতে এর পরেই রয়েছে পৃথিবীর কোটি কোটি নারী হৃদয় জয় করা গুচি ব্র্যান্ডের পারফিউম। দামে কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য গুচির প্রতিটি পারফিউম বিশ্বব্যাপী হটকেকের মতো বিক্রি হয়। বর্তমানে ৬৩ ইউএস ডলার দিয়ে আপনি ৭৫ এমএল গুচির মালিক হতে পারেন।

অন্যদিকে সিকে ব্র্যান্ডের ইটারনিটিও বিশ্বব্যাপী মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় একটি পারফিউম। এই পারফিউমটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর স্থায়িত্ব। একবার স্প্রে করলে তার সুগন্ধ প্রায় এক সপ্তাহ থাকে। উপমহাদেশের মেয়েদের মধ্যে ইটারনিটির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ৪৩ ইউএস ডলারে পাওয়া যাবে সিকের ইটারনিটি।

ওম্যান পারফিউমের ক্ষেত্রে টমি গার্লের কথা না বললেই নয়। পিওর, ফ্রেশ, ফ্লাওয়ারি ও ফ্রুটি এই চারটি ফ্লেভারে টমি গার্ল বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়। তবে টমি গার্লের অরিজিনাল ভার্সনটি মেলানো কিছুটা কষ্টসাধ্য। এ কয়টি পারফিউম ছাড়াও কেনজো ফ্লাওয়ার অসংখ্য মেয়ের কাছে প্রিয় একটি পারফিউম।

Leave a Reply