পরিচ্ছন্ন একটি মুখ আমরা সবাই চাই। কিন্তু চাওয়া আর পাওয়া সব সময় এক হয় না। মাঝে মাঝে এর ব্যত্তয় ঘটে। যা আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টের ব্যপার বটে। সাধারণত টিনেজরাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে।
গবেষণায় দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রণ বংশগত। একে অনেকেই pimple, zit বা spot বলে থাকে। বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য নানারকম ঔষধ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করার আগে আসুন কিছু ঘরোয়া অনুসরন করি।
১. বরফ ব্যাবহারঃ মুখে উপর বরফ ঘষুন ১০ মিনিটের মত । এতে ব্রন কম বের হবে এবং ইতিমধ্যে যদি ব্রন বেরিয়েও থাকে, কমে যাবে ।
২. টুথপেস্ট ব্যবহারঃ ব্রনের উপর সামান্য করে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন সারারাত । সকালে ধুয়ে ফেলুন । এতে ব্রন আকারে কমে যাবে । এবং শুকিয়েও যাবে ।
৩. রসুন ব্যবহারঃ ব্রনের উপরে এবং চারপাশে কাচা রসুন ঘষে দিন । এতে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং দাগ ও অনেক কমে যাবে ।
৪. কমলার খোসা ব্যবহারঃ কমলার খোসা বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন । ব্রন কমে যাবে ।
৫. মধু ব্যবহারঃ ব্রন ওঠার সাথে সাথে এর উপরে মধু লাগিয়ে দিন । এটা আর বাড়তে পারবে না ।
৬. কাগজি লেবু ব্যবহারঃ ঘুমানোর আগে মুখে কাগজি লেবুর রস মাখুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন । মুখ ব্রন মুক্ত থাকবে ।
৭. ভিনেগার ব্যবহারঃ সামান্য পানি এবং ভিনেগার প্রথমে গরম করুন একসাথে । তারপর ঠাণ্ডা করে এই মিশ্রন মুখে ব্যবহার করুন । ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ।
৮. আলু ব্যবহারঃ আলু স্লাইস করে কেটে ব্রনের উপর ঘষুন ৫-৭ মিনিট । ব্রনের আকার অনেক কমে যাবে ।
৯. শশা ব্যবহারঃ শশা থেতো করে সামান্য লেবুর রস একসাথে করে মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান । আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন । ব্রন হবে না ।
থাক্লেও অনেক কমে যাবে ।
১০. মুখের পরিচ্ছন্নতাঃ ভাল ফেস ওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত ২ বার মুখ ভাল করে পরিস্কার করবেন । মুখে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না । নোংরা কাজ করার পর এবং প্রতিবার বাইরে থেকে এসে ভাল করে মুখ ধোবেন ।
১১. চোখের ড্রপ ব্যবহারঃ খুবই কার্যকরী পদ্ধতি । ব্রনের উপর ১ ফোটা করে ইউজ করলেই অনেক কমে যাবে ।