ব্রোনো দূর করে এরোমা ফেস প্যাক
আপনার কি তৈলাক্ত ত্বক? আপনি কি ব্রোনোর সমস্যায় ভোগেন? এরোমো থেরাপির মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷এরোমা থেরাপিতে অয়েল থাকে৷ হয়ত ভাবছেন এই অয়েল আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে বাড়িয়ে ব্রোনোর সমস্যা বাড়াবে৷ এই ধারণা একেবারেই ভুল৷ এরোমা থেরাপি ত্বকের জন্য খুব উপকারী৷
এরোমা অয়েল হল অ্যান্টিসেপ্টিক৷ এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল পদার্থ রয়েছে৷ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই থেরাপি খুবই ফলদায়ী৷
এক চামচ কেয়োলিন পাউডারের সঙ্গে এক চামচ আযুর্বেদিক পিম্পল ফেস প্যাক,এক এক ফোঁটা কেমোমিলা, ল্যাভেন্ডার, জুনিয়ার পাচোলী, লাইম এরোমাকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ এই এসেন্থিয়াল ওয়েলকে এক ফোঁটা ফেস মাস্কের মধ্যে মেশান ৷ এবার এটাকে অ্যালোবেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ মুখে লাগানোর পরে 20 মিনিট পর্যন্ত রাখুন৷ তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷
এই প্যাকটাকে প্রতিদিন দুবার মুখে লাগান৷
ফর্সা হবার প্যাক
মুসুর ডালের প্যাক লাগিয়ে আপনি ফর্সা হতে পারবেন৷ দীর্ঘদিন যদি নিয়ম মেনে মুখে মুসুরির ডালের প্যাক লাগান তাহলে সহজেই আপনার মুখের কালো ছাপটা দূর হয়ে যাবে৷ চলুন এই প্যাক কি করে তৈরী করবেন তা জেনে নিই৷
* মুসুরির ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন৷ সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান৷ রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে৷
* মুসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে৷
* যদি মুখে বা পীঠে দাগ হয় মুসুরির ডালের মধ্যে চালের পেস্টটা মিশিয়ে ওর মধ্যে চন্দন পাউডার,মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো চোকলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন৷ এর মধ্যে 2 চামচ শশার রসও মেশাতে পারেন৷ মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান৷ শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন৷
*মুসুর ডাল গুড়ো করে তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান৷ রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন৷ প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে 2 ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে 1 চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান৷ আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন৷ এতে আপনার মুখের রঙ ফর্সা হয়ে যাবে৷