ব্ল্যাকহেড বা অবাঞ্চিত কালো লোম মুখের সৌন্দর্য ব্যহত করে। এই ব্ল্যাকহেড ঘরে বসে দূর করা সম্ভব, কিন্তু ত্বকের ধরণ বুঝে উপযুক্ত পন্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, তবে প্যাকটি সপ্তাহে ৩-৫ বার, শুস্ক ও সংবেদনশীল ত্বকে সপ্তাহে ১ বার আর স্বাভাবিক ত্বকে সপ্তাহে প্রতিদিন প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
ব্ল্যাকহেড দূর করার বিভিন্ন প্যাক :
লেবু ও টক দই এর প্যাক: ২ চা চামচ ব্যসন, ৩ চা চামচ টক দই ও ১ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে প্যাকটি তৈরি করতে হবে, যা ব্ল্যাকহেড আক্রান্ত জায়গায় ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখটি ধুতে হবে।
বেকিং পাউডারের প্যাক: ২ টে চামচ বেকিং পাউডার ও ৪ টে চামচ পানি মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে মোটা করে লাগাতে হবে। ১০ -১২ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের প্যাক: অতিরিক্ত ঘন ব্ল্যাকহেড থাকলে আক্রান্ত স্থানে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফাটিয়ে তাতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাকটি লাগাতে হবে। ২০-২৫ মিনিট পর মুখটি হালকা গরম পানিতে মুখটি ধুতে হবে।
টমেটোর প্যাক: টমেটো হল একটি এন্টিসফেটিক। টমেটো পেস্ট করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে ও নাকে লাগান এবং সারারাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাল করে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।
মধু দিয়ে তৈরি প্যাক: তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাকহেড আরও সমস্যাজনক, এই সমস্যা দূর করতে মধু অত্যন্ত কার্যকর।
ব্ল্যাকহেড আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর মুখটি হালকা গরম পানিতে মুখটি ধুতে হবে।
মনে রাখবেনঃ
1. যথা সম্ভব মুখে কম মেকআপ ব্যবহার করুন। এমন সব প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবেনা, যা ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রকে বন্ধ করে দেয়।
2. অযথা ব্লাক হেড চাপা চাপি করবেন না যা পরে মুখে স্থায়ী দাগের কারণ হতে পারে
3. মুখে কখনো নখের স্পর্শ করবেন না এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে।
4. নিয়মিত বেশি করে পানি পান করবেন এবং সময় মত ঘুমাবেন।
5. নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন এবং ভালো থাকুন