আমাদের দেহের ওজন যখন বৃদ্ধি পায় তখন স্বাভাবিক ভাবে আমাদের নিতম্বও ভারী হয়ে যায়। আর ভারী হয়ে গেলেই দেখা দেয় যত ঝামেলা। যে কোন জামা পরেন না কেন আপনি কোন ভাবেই দেখতে ভাল লাগেনা। ভারী নিতম্বে আমাদের দেহের সৌন্দর্য তো হারায়ই সাথে সাথে কোন জামা কাপড় পরেও সুন্দর লাগে না। জেনে রাখুন কীভাবে কমাবেন এই ভারী নিতম্ব।
১। অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেবেন। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। মিষ্টি কম খাবেন। প্রয়োজনে ভাত ও রুটি কম পরিমানে খান।
২। সাঁতার কাটুন। দেহ ওজন কমবে ও নিতম্বের বৃদ্ধিও হ্রাস পাবে।
৩। বসা, হাঁটাচলার ভঙ্গি ঠিক রাখুন। বসার সময় মেরুদন্ড সোজা করে বসুন। পেট টেনে, কাঁধ পেছেনে ঠেলে, মাথা সোজা রেখে বসুন। হাঁটার সময়ও এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।
৪। রোজ অন্তত একবার এক ঘণ্টা জোরে হাঁটবেন। পারলে দিনে দুবারও হাঁটতে পারেন।
৫। মাটিতে পা ছড়িয়ে বসুন। এভাবে ঘরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যান। আবার ফিরে আসুন। এভাবে জতবার পারেন সামনে মুখ করে হিপ-ওয়ার্কিং করুন।
৬। পা ফাঁক করে হাঁটু ভাজ করে দাঁড়ান। পিঠ টানটান থাকবে। কোমর বেকিয়ে একবার ডানদিকে একবার বাঁদিকে এভাবে ১০ বার করুন। পড়ে বাড়ান।
৭। কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে মাথার পিছনে হাত দিয়ে সোজা টানটান হয়ে দাঁড়ান। বাঁ হাতের কনুই দিয়ে বাঁ হাঁটু ছুঁতে চেষ্টা করুন। বাঁ পা তোলার সঙ্গে সঙ্গে কোমর থেকে বেঁকে কনুই নিয়ে আসবেন হাঁটুতে। হাঁটু ও কনুই কোমর বরাবর আনবেন। দশ গুনুন। ছেড়ে দিন। এভাবে দশ বার করুন।
৮। মাটিতে উবু হয়ে বসুন। মাটিতে হাতের পাতা রাখুন। এবার হাত ও পায়ের পাতায় ভর করে নিতম্ব উপরে তুলুন। দশ গুনুন। আবার করুণ। কমপক্ষে ব্যায়ামটি ১০ বার করুণ।
৯। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত দুটি মাথার উপরে তুলে হাত নামিয়ে মাটি ছুঁতে চেষ্টা করুণ। হাটু ভাঙবেন না। এবার মাটিতে হাত ও পায়ের ভর দিয়ে নিতম্ব উপরে তুলুন। এভাবে ১০ বার করুণ। অভ্যাস হয়ে গেলে কাউন্ট বাড়াবেন।
১০। ডান হাঁটু ভাঁজ করে বাঁ পা পিছনে সোজা করে ছড়িয়ে দিন। হাঁটুর উপরে বুক নিয়ে দুপাশে দুই হাতের পাতা রাখুন সমান ভাবে। কোমর থেকে নিতম্ব উপর-নীচ করুন কয়েকবার। একই ভঙ্গিতে আবার বাঁ পায়ে করুন। সেক্ষেত্রে ডান পা পিছন দিকে ছড়িয়ে দেবেন।