ভেজিটেবল পিল ফেসিয়াল

টাটকা সবজি বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু খোসা দিয়েই মাত্র কয়েকটি ধাপ পার করে চটপট ফিরিয়ে আনুন আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা। সব বয়সের সব ত্বকের অধিকারীরা নিশ্চিন্তে এই ফেসিয়াল করতে পারবেন। এমন কি সপ্তাহে ১ বার করে করলেও ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না।

ভেজিটেবল পিল ফেসিয়ালের সুবিধা সমুহঃ

০১. এই ফেসিয়ালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল এটি যাদের মুখে ব্রণের দাগ বা অন্য কোন দাগ আছে, যাদের পিগমেন্টেশনের সমস্যা আছে তাদের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী।
০২. ত্বকের শুষ্কতা দূর করে।
০৩ যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
০৪ এটি ত্বক কে এক্সফলিয়েট করে এবং ত্বকের সব দূষিত পদার্থ বের করে আনে।

ক্লিনজ এবং এক্সফলিয়েসনঃ
ভেজিটেবল পিল ফেসিয়ালের উপকারিতা ভোগ করার জন্য ত্বককে প্রথমে তৈরি করে নিন। ভালো মানের কোন ক্লিনজার নিন, মুখে এবং গলায় হালকা হাতে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। তারপর কিছুটা সময় মুখে ঐভাবে রেখে দিন। এতে ক্লিনজার আপনার ত্বকের উপর কাজ করবে আর রক্ত সারকুলেশনের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর এক্সফলিয়েসন করা জরুরী। এতে আপনার ত্বকের সব মরা কোষ দূর হবে আর যে মাস্ক দেয়া হবে তার উপকারিতা সম্পূর্ণ রূপে পাওয়া যাবে। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

• লোম কুপ ওপেন করার জন্য স্টিম করুনঃ

আপনার ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করার জন্য স্টিম নেয়া জরুরী। ১০-১৫ মিনিট ধরে গরম পানির ভাপ নিন মুখে।

• ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহারঃ

উপরের দুটি ধাপ সম্পন্ন করে ফেসিয়াল মাস্ক লাগাতে হবে। নীচের রেসিপি গুলো থেকে আপনারা আপনাদের পছন্দমত বা ত্বকের সাথে মানানসই রেসিপিটি বেছে নিতে পারেন।

কিউকাম্বার পিল মাস্কঃ
একটি ছোট শশা নিন। শশাটি খোসা সহ ছোট ছোট টুকরো করে নিন।। তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। এই পিউরিটি কে একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ঝুলিয়ে দিন যেন অতিরিক্ত পানি ঝরে যায়। এবার এর সাথে এলোভেরা জেল, গ্রিন টি আর জেলাটিন মেশান। শশা এবং এলোভেরাতে আছে প্রাকৃতিক এস্ট্রিনজেণ্ট, যা ব্যাকটেরিয়ার বংশ ধ্বংস করে। এবার মিশ্রণটি একটি সস প্যানে ঢেলে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না জেলাটিন গলে মিশে যায়। মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রাখুন ৩০ মিনিট। এখন অ্যাপ্লাই করার পালা। মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।

পাম্পকিন পিল মাস্কঃ
মিষ্টি কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে পিস করে নিন। তারপর ১/৪ কাপ পানিতে টুকরো গুলো দিয়ে মাইক্রোওয়েভে হাই দিয়ে ৩ মিনিট রাখতে হবে। যদি মাইক্রোওয়েভ না থাকে তাহলে চুলায় জোরে আঁচে দিয়ে ৬ মিনিট রাখুন। তারপর ঐ সেদ্ধ কুমড়া, ২ টুকরো আনারস, ১ চা চামচ বাদামের তেল, ১ টেবিল চামচ ওটস একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ফেসওয়াশ ও উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো কোন ময়েশচারাইজার লাগিয়ে ফেলুন।

টমেটো পিল মাস্কঃ
একটি মাঝারি সাইজের পাকা টমেটো ভালো করে ধুয়ে ছোট করে কাটুন। ব্লেন্ডারে লো স্পীডে কয়েক সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন। এই পিউরি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সাইট্রাস পিল মাস্কঃ
সাইট্রাস পিলে আছে গ্লাইকোলিক এসিড, এই এসিড রিঙ্কেল এবং ওভার সাইজড পোর অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এবার আসুন রেসিপিটি জানা যাক।

খোসা ছাড়ানো একটি লেবুর অর্ধেক নিন। খোসা সহ কাঁচা পেঁপে নিন আধা কাপ। এর সাথে একে একে মিশান এক চামচ মধু ও টক দই। সব একসাথে ব্লেন্ড করুন। এই পিউরি মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। হয়ে গেল আপনার পিল ফেসিয়াল।

এই ফেসিয়াল করার পর ত্বক এত নরম আর মসৃণ হয়ে যায় যে বারবার নিজের ত্বক ছুঁতে ইচ্ছে করবে। এই পাওয়ারফুল অ্যান্টি – অক্সিডেণ্ট ট্রিটমেন্টের কারণে ত্বক হবে উজ্জ্বল, দ্যুতিময়।

Leave a Reply