মধ্যবয়সী নারীদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ভাবনা

নারীরা প্রকৃতির নিয়মে পুরুষদের চেয়ে অনেক আগেই সাবালক প্রাপ্ত হয়। এজন্য নারীদের ক্ষেত্রে ৩০-৪০ বছর বয়স হলে তাকে মধ্যবয়সী বলা হয়ে থাকে। যদিও বয়স হচ্ছে একটি সংখ্যা মাত্র। তারপরেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের শারীরিক ও মানসিক দুটি অবস্থারই ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। তাদের কাছে সব থেকে ভীতিকর বিষয়টি হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্য। শরীরে হরমোনের প্রভাবে তাদের পেশীর শক্তি এবং হাড়ের ঘনত্ব কমে আসে। ফলে এই সময়টাতে তারা অনেক চিন্তিত থাকে। সামান্য অসুস্থতায় তাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে ইস্ট্রজেন এর কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবার ফলে তাদের হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা জীবনধারাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। আপনি যদি ৩৫ বছর বয়সের উপরে একজন নারী হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। এখানে আপনার জন্য স্বাস্থ্য ও ফিটনেস বিষয়ক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেয়া আছে যেগুলো অনুসরণ এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ভাল রাখতে পারবেন।


#
নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এক্ষেত্রে জগিং করতে পারেন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ৫ দিন করে করতে থাকুন। ব্যায়ামই হচ্ছে শরীর ভাল রাখার সব থেকে ভাল একটি পদ্ধতি। নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে নানা রকমের অসুস্থতা এবং রোগব্যাধি থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সক্ষম হবেন।

# জিম এ গিয়ে বা ঘরে বসে আপনি ভারোত্তোলনের মাধ্যমে আপনার হাতের পেশী নমনীয়, শক্তিশালী এবং ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে পারবেন। এটা আপনার হাড় বেঁকে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার শরীরে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে আপনার বয়স্ক ভাবটা দূর করবে।

# দৈনিক খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার রাখুন। যেসব দুগ্ধজাত খাদ্যে চর্বির পরিমাণ একেবারেই কম সেগুলো ক্যালসিয়াম এর ভাল একটি উৎস। কিন্তু, আপনি যদি নিরামিষভোজী হয়ে থাকেন তাহলে সবুজ শাকসবজিই হচ্ছে আপনার ক্যালসিয়াম। এক্ষেত্রে আপনি ফুলকপি, বাঁধাকপি খেতে পারেন। অনেকেই আছেন যারা গরুর দুধ পান করতে চান না তাদের জন্য কমলার রস হচ্ছে আর একটি ভাল ক্যালসিয়াম এর উৎস। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কমলার রস পান করুন।

# ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান।

# অতিরিক্ত ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। কারণ, তৈলযুক্ত ভাজা খাবার আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে আপনার হৃৎপিণ্ডের রোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।

# ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন। এটা আপনার হার্টের জন্য উপকারী। সামুদ্রিক স্যালমন মাছ আপনার এই চাহিদাটি পূরণ করতে সক্ষম।

# বিকালে বা সন্ধ্যার নাস্তার তালিকায় ভাজা খাবারের পরিবর্তে বাদাম এবং ফলমূল রাখুন।

# চিনি খাওয়া কমিয়ে দিন। কারণ, এটা আপনার খাদ্যের ক্যালরি ধ্বংস করে দেয়।

উপরোল্লিখিত বিষয়সমূহ অনুসরণ করা ছাড়াও আপনাকে আরও একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। আর সেটা হচ্ছে, কখনো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবেন না। এটা আপনার স্বাস্থ্যকে মুহূর্তের মধ্যে বিলীন করে আপনার বয়সটাকে বাড়িয়ে দেবে। তাই ফিটনেস ধরে রাখতে চাইলে আজ থেকেই আপনার কর্ম পরিকল্পনা শুরু করে দিন এবং হাসিখুশি থাকুন।

Leave a Reply