ত্বক মেইকআপমুক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে দুধ, জলপাই তেলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান।রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে মেইকআপ তুলে নেওয়ার জন্য কার্যকর কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের নাম উল্লেখ করা হয়।
শসা
শসা ত্বক শীতল রাখে এবং জ্বালাভাব ও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। খানিকটা বেবি অয়েলের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ঘরোয়াভাবেই উপকারী ও কার্যকর মেইকআপ রিমুভার তৈরি করা সম্ভব।
দুধ
প্রাকৃতিক ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে দুধের জুড়ি নেই। সমপরিমাণ জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে মেইকআপ রিমুভার তৈরি করা যায়।
নারিকেল তেল
চুল ও ত্বকের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তুলার প্যাড নারিকেল তেলে ডুবিয়ে ত্বকে আলতো করে ঘষে নিলেই সব মেইকআপ উঠে আসবে।
জলপাইয়ের তেল
শুধু রান্নায় নয়, রূপচর্চাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে বিশুদ্ধ জলপাইয়ের তেল। ত্বক ও চোখের মেইকআপ ওঠাতে জলপাইয়ের তেলে তুলা ভিজিয়ে আলতো করে ঘষলেই ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে।
জোজোবা তেল
শুধু মেইকআপ দূর করতে নয়, ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতেও জোজোবা তেল উপকারী। দুই ভাগ পানির সঙ্গে একভাগ জোজোবা তেল মিশিয়ে মেইকআপ রিমুভার তৈরি করে নেওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, এ, ডি এবং ই’তে ভরপুর এই ফল ত্বকের যত্নে দারুণ উপকারী। একটি কটনবাড অ্যাডাকাডোর উপর ঘষে এর তেল উঠিয়ে নিতে হবে। এই বাডটি চোখের মেইকআপ মুছে ফেলতে ব্যবহার করা যাবে।
ভিটামিন ই তেল
ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় তেল ভিটামিন ই। রাতে ঘুমানোর আগে একটি নরম কাপড় বা তুলায় এই তেল নিয়ে মেইকআপ উঠিয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক কোমল থাকবে।
প্রাকৃতিক তেলের মিশ্রণ
যদি ভারী মেইকআপ করা হয়, তাহলে সেই মেইকআপ ওঠাতে বেশ বেগ পেতে হবে। এক্ষেত্রে জলপাইয়ের তেল, ক্যানোলা তেল, নারিকেল তেল, বাদামের তেল থেকে পছন্দমতো দুই বা তিনটি তেল সমান পরিমাণে মিশিয়ে মেইকআপ রিমুভার তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।