প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং হতাশার মতো আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। তখন যে কোন কাজ করতেই মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাড়ায়। কাজেই যে কোন কাজেই সফল হতে প্রতিদিনের ডায়াটে ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন। কারণ এসব খাবার মস্তিষ্কের এমন কিছু উপাদানকে সক্রিয় রাখে যা ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
জেনে নিন ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে যেসব খাবার-
কার্বোহাইড্রেট
প্রতিদিনের ডায়েটে রুটি, বিভিন্ন শস্যদানা কিংবা বাদামি চালের ভাত প্রভৃতি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার রাখুন। এগুলো শরীরের সেরাটোনিনের মাত্রাকে বাড়িয়ে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
প্রোটিন
কম চর্বিযুক্ত পনির, মুরগী এবং মাছ জাতীয় খাবারগুলো এর অন্তর্ভূক্ত। এই খাবারগুলোতে ট্রিপটোফ্যান নামে উচ্চ মাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যা সোরোটনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই ভালো ঘুম হয়।
আখরোট
এটি ট্রিপটোফ্যানের ভালো উৎস। এছাড়া এতে মেলাটোনিন নামে এমন এক উপাদান রয়েছে যা দ্রুত গভীর ঘুমে সাহায্য করে।
কাজুবাদাম
এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং মিনারেল রয়েছে যা ভালো ঘুমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
দুগ্ধজাত পণ্য
পনির, দই এবং দুধের তৈরি আরও নানা খাবারে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়া এসব খাবারে ট্রিপটোফ্যান রয়েছে যা ভালো ঘুম এনে দেয়।
লেটুস পাতা
এত ল্যাকটুকেরিয়াম নামে এমন এক উপাদান রয়েছে যেটি প্রশান্তি নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখে। একইসঙ্গে লেটুস পাতা মস্তিষ্ককে শান্ত থাকতে প্রভাবিত করে, ফলে ঘুম ভালো হয়।
টুনা মাছ
বিভিন্ন ধরনের মাছ বিশেষ করে টুনা এবং স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এগুলো শরীরে মেলাটোনিন এবং সেরোটোনিন তৈরি করে যা ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
চেরি জুস
দ্রুত ভালো ঘুমাতে এক গ্লাস চেরি জুস খাওয়ার বিকল্প নেই। গবেষকরা বলেন, এই খাবারটি প্রাকৃতিকভাবেই শরীরে মেলাটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
মধু
প্রাকৃতিকভাবেই মধুতে যে চিনি পাওয়া যায় তা শরীরের ইনসুলিন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ট্রিপটোফ্যান সহজেই মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ মধু মিশ্রিত ক্যামোমিল চা খেলে অনেক ভালো ঘুম হয়।