* পরোটা বা লুচি
পরোটা বা লুচি সবই ডুবো তেলে ভাজা খাবার, যা কেবল সকালে নয় সারাদিনই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। সকালে খালিপেটে এসব অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার আপনার হজমে গড়বড় ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার মূল কারণ।
* পাউরুটি
পাউরুটি খাবারটিকে দেখতে যতটা নিরীহ মনে হয়, আসলে তেমন নয় মোটেই। বিশেষ করে সাদা পাউরুটি। এই সাদা রুটিতে কোন পুষ্টিগুণই থাকে না, যদিও আপনার সকাল শুরু হওয়া উচিত দারুণ সব পুষ্টিকর খাবার দিয়ে। ব্রেড যদি খেতেই হয় তাহলে ব্রাউন ব্রেড খান এবং প্যাকেটের গায়ে দেখে নিন পুষ্টি ভ্যালু।
* জ্যাম-জেলী
সকাল বেলা কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার ও প্রচুর পরিমাণে চিনি দেয়া জ্যাম-জেলী খাওয়ার অর্থ জেনে বুঝে বিষ খাওয়া। সকাল বেলা প্রচুর মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনার ওজন বৃদ্ধি ও দিনভর ক্লান্ত লাগার নেপথ্যে মূল কারণ।
* খিচুড়ি বা তেহারি
সকাল বেলা ভাট জাতীয় উপাদান খেতে কোন বাঁধা নেই। তবে সেটা খিচুড়ি, তেহারি বা ফ্রাইড রাইসের মত মশলা জাতীয় উপাদান না হয়াই ভালো। সকালে খালি পেটে এসব তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবার হজমের গড়বর, এসিডিটি ও দিনভর আলসেমির মূল কারণ। ভাট জাতীয় খাবার যদি খেতেই হয় তবে সাদা ভাত খান।
* নেহারী, পায়া ইত্যাদি
এসব খাবারে তাঁকে মাত্রা অতিরিক্ত তেল, ক্যালোরি ও মসলা। এগুলো যতটা সম্ভব পরিহার করুন সবসময়েই।
* সেমাই, হালুয়া, জর্দা বা মিষ্টি জাতীয় যে কোন দেশি খাবার
পরোটা, লুচি, রুটির সাথে সেমাই বা হালুয়ার মত মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রচল বহুকাল যাবত। সকাল বেলা অতিরিক্ত মিষ্টি এসব খাবার বলাই বাহুল্য যে আপনার জন্য ভালো নয় মোটেই।
* কর্ণফ্লেক্স
প্যাকেটজাত এই খাবারটি স্বাস্থ্যকর ভেবে আমরা সকলেই খাই। কিন্তু সত্য এয়াই যে এই কর্ণফ্লেক্সে থাকে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার ও চিনি। এবং ফাইবার বলতে গেলে থাকেই না। প্রয়োজনীয় পুষ্টিই যদি না পান, তাহলে সকালে এই খাবারটি খেয়ে অযথাই দুর্বল অনুভব করবেন ও ক্লান্তি লাগবে।
* জুস
জুস খাওয়াটা আরেকটি ভুল অভ্যাস। সকালে জুস না খেয়ে ফল খান। এক ক্লাস জুসে ফলের চাইতে ক্যালোরি থাকে অনেক বেশী, কিন্তু ফাইবার থাকে জিরো। আর বাজারের কেনা জুসে তো রঙ। প্রিজারভেটিভ, চিনি ইত্যাদি আরও কত কী থাকে। আর তাজা ফলে ক্যালোরি কম তো বটেই, সাথে থাকে হাই ফাইবার।
* চা-কফি
সকালে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় নাস্তার আগে বা পরে খাওয়া আরও একটি ভুল অভ্যাস। এই ক্যাফেইন হজমে সমস্যা তৈরি করে, খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে বাঁধা দেয়। চা-কফি নাস্তার অন্তত ৩০ মিনিট পর পান করাই ভালো।