Home রেসিপি রান্না করতে গিয়ে টাকা বাঁচানোর ১০টি দারুণ কৌশল

রান্না করতে গিয়ে টাকা বাঁচানোর ১০টি দারুণ কৌশল

by shamim ahmed
বাজার করতে টাকা বাঁচানোর ব্যাপারে অনেকেই জানেন। কিন্তু রান্না করতে গিয়ে টাকা বাঁচানো? হ্যাঁ, সেটাও করা যায় বৈকি। আমরা অনেকেই জানিনা এমন কিছু কৌশল, যেটা রান্নাঘরে আমাদের খরচ কমাতে পারে। যেমন ধরুন, একটি মুরগী দিয়েই যদি ৪/৫ রকমের খাবার রেঁধে ফেলতে পারেন, কিংবা স্বাদ না কমিয়েই যদি কমিয়ে ফেলতে পারেন ঘি এর ব্যবহার? জেনে নিন তেমনই অসাধারণ ১০টি টিপস।

১) খোসা ফেলবেন না

ফল বা সবজির খোসা আমরা সাধারণত ফেলেই দিই। কিন্তু এমন অনেক ফল ও সবজির খোসা আছে যেগুলো আসে ফেলে দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। পটল, লাউ ইত্যাদি সবজির খোসাকে কুচি করে ভাজি করা যায়, ভর্তাও করা যায়। তরমুজের খোসা দিয়ে হয় তারুন তরকারী। এমনকি কাঁচা কলার খোসাকেও ভর্তা করা যায়। কমলা, লেবুর ইত্যাদির খোসা দিয়ে টফি তৈরি করা যায়।

২) মুরগি খান বুদ্ধি করে

মুরগি কেনার সময় চামড়া ও পা কখনো ফেলবেন না। মুরগির মাংসগুলোকে তরকারী খাবার জন্য রাখুন। চামড়া, গিলা, কলিজা, গলা ইত্যাদির সাথে বুটের ডাল দিয়ে রেঁধে ফেলতে পারেন তরকারী। স্বাদের কোন কমতি হবে না। মুরগির পা, গলা, মাথা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করে রাখবেন চিকেন ষ্টক। আবার কাটার সময় বুকের হাড় ছাড়া মাংস অল্প অল্প করে তুলে রাখবেন। একসাথে অনেকটা জমে গেলে তৈরি করতে পারবেন দারুণ কোন খাবার, কোন বাড়তি খরচ ছাড়াই!

৩) মাছের ভাগেও চাই কৌশল

মাছের ক্ষেত্রেও মুরগির মত একই কৌশল করতে পারেন। মাথা-লেজ ইত্যাদি দিয়ে ডাল রান্না করতে পারেন, তৈরি করতে পারেন ফিশ ষ্টক। কাঁটা ছাড়া কিছু পিস তুলে রাখতে পারেন ফিশ ফিঙ্গার ধরণের নাস্তা বানানোর জন্য। কাঁটাকুটো দিয়ে চচ্চড়ি রাঁধতে পারেন।

৪) ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন

যে কোন খাবারই ঢাকনা দিয়ে রান্না করলে বাঁচবে গ্যাস খরচ। প্রেসার কুকারও ব্যবহার করতে পারেন।

৫) চিংড়ী মাছ হতে পারে দারুণ সাশ্রয়ী!

চিংড়ী মাছের খোসা, লেজ, মাথার সামনের অংশ ইত্যাদিকে কী করেন? নিশ্চয়ই ফেলে দেন! ফেলে না দিয়ে সিদ্ধ করে ষ্টক পানিয়ে ফেলুন। যে কোন খাবারের ফ্লেভার বাড়াবে এই ষ্টক। চাইলে এগুলোকে ভেজে নিয়ে বেটে ভর্তা বানাতে পারেন, চাইলে যে কোন ভাজিতে দিতে পারেন। চমৎকার ফ্লেভার হবে।

৬) তেল ফেলবেন না, পোড়াবেন ও না

অনেকেই একবার তেলে কিছু ভাজা হলে সেটা সাথে সাথে ফেলে দেন। অনেকে একি তেল বারবার ব্যবহার করতে তাকেন। দুটোর কোনটাই করবেন না। তেলে একবার কিছু ভাজা হলে, সেই তেল ছেলে তরকারী বা ভাজিতে দিয়ে দিন। বাড়তি ফ্লেভার যোগ হবে,।

৭) এক খাবারের ভিন্ন ভিন্ন রূপ

সাধারণত সবজির ক্ষেত্রে এমন হয়। একটা তরকারী কেনা হয়ে, এক রকম রান্না করে খাওয়ার পর আর খেতে ভালো লাগে না। সব খাবার রাঁধারই একাধিক কৌশল শিখে রাখুন। এতে অপচয় হবে না, খেতেও ভালো লাগবে।

৮) ঘি-এর ব্যবহারে মজার কৌশল

ঘি এর মত দামী জিনিসে কীভাবে টাকা বাঁচাবেন? ঘি এর সাথে তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। পরোটা হোক বা পোলাও-বিরিয়ানি, সয়াবিন তেলের সাথে ঘি যোগ করে তেলের ফ্লেভার বাড়িয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে রান্না করুন। স্বাদে কোন হেরফের হবে না।

৯) ভাজার চাইতে ঝোল ভালো

যে কোন খাবারই একদম ভাজা ভাজা করা হলে পরিমাণে কমে যায়। তাই ভাজি একেবারে ভাজা ভাজা করবেন না। আর চেষ্টা করুন ঝোলের তরকারী বেশী খেতে। এটা সাশ্রয়ী।

১০) বাসি খাবার ফেলে দেবেন না

যে কোন বাসি খাবারকেই নতুন রূপ দেয়ার একটা ব্যবস্থা আছে। পাউরুটি, পরোটা থেকে শুরু করে যে কোন খাবার দিয়েই আপনি নতুন কিছু তৈরি করতে পারবেন। সেই রেসিপিগুলো জেনে নিন আর বাসি খাবারেই তৈরি করুন দারুণ কিছু!

You may also like

Leave a Comment