“রান্না” ছাড়াই তৈরি হবে এমন ৪টি দারুণ ব্রেকফাস্ট রেসিপ !

সকাল রান্না করার ঝামেলা ছাড়াই পরিবেশন করতে পারবেন এমন ৪টি দারুণ ব্রেকফাস্ট রেসিপি। না, কর্ণফ্লেক্সের মত অতি পরিচিত খাবারের কথা বলবো না। বরং আপনার চেনা খাবারগুলোতেই নতুন স্বাদ এনে দেয়ার কৌশল থাকছে এই ফিচারে। থাকছে ওজন কমানোর মত খাবারের কথা, আবার চটপট ঝাল খাবারের স্বাদও।

পিনাট বাটার অ্যান্ড জেলি স্যান্ডুইচ

রোজ রোজ জ্যাম-জেলী বা নুটেলা খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছেন? তাহলে আজ তৈরি করে ফেলুন পৃথিবী বিখ্যাত পিনাট বাটার অ্যান্ড জেলী স্যান্ডুইচ। ৩ পিস ব্রেড নিন, তারপর এক পিস মাখান মাখন, এক পিসে মাখান পিনাট বাটার এবং আরেক পিসে মাখিয়ে নিন আপনার পছন্দের কোন জ্যাম বা জেলী। ব্যাস, তারপর তিনটি পিসকে সাজিয়ে নিন পর পর স্যান্ডুইচের মত করে। তিনকোণা করে কেটে পরিবেশন করুন। চাইলে রুটির মাঝে কলার ফিলিংও দিতে পারেন। এই খাবারটি যদি ঝাল বা নোনতা স্বাদে খেতে চান, তাহলে জেলী বাদ দিয়ে দিন। তাঁর বদলে যোগ করতে পারেন রেডি করা স্যান্ডুইচ মিট, সসেজ, রেডি করা স্যান্ডুইচ স্প্রেয়ারড ইত্যাদি।

ওভার নাইট ওটস

নাস্তায় এমন কিছু খেতে চান যা ওজন কমাবে? ওভার নাইট ওটসের রেসিপি তাহলে আপনার জন্যই। ১/২ কাপ রোলড ওটস নিন, একে ১/২ কাপ দুধ ও ১/২ কাপ দই দিয়ে মেখে সারা রাত রেখে দিন। সকালে অল্প চিনি, বাদাম , মধু ও ফল মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি আপনার স্বাস্থ্যকর নাস্তা। যদি ঝাল খেতে চান সেক্ষেত্রে চিনি বাদ দিয়ে চাট মশলা, সরিষার তেল, টমেটো, ধনেপাতা ইত্যাদি মিশিয়ে নিন। সাথে যোগ করতে পারেন আচার, এমনকি আগের রাতের মাংসের তরকারীও। যাদের ওজন নিয়ে সমস্যা নেই তাঁরা চকলেট থেকে শুরু করে হরেক রকমের সিরাপ যোগ করতে পারেন। ছাইলে ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। চাইলে খেতে পারেন গরম করেও।

পেট ঠাণ্ডা রাখবে দইয়ের হরেক পদ

সকালে ভাজা পোড়া কিছু খেতে পারেন না, কিংবা সারাদিন এসিডিটির সমস্যা লেগেই থাকে? তাহলে সকালে খেতে পারেন দইয়ের হরেক রকম নাস্তা। চিঁড়া, মুড়ি বা খই কে পানিতে ভিজিয়ে নরম করে পানি চিপে নিন। এবার একটি বাটিতে দইয়ের সাথে অল্প পানি ও চিনি দিন। সাথে দিন এক চিমটি লবণ ও চিনি এবং ভিজিয়ে রাখে চিঁড়া-মুড়ি-খই। ভালো করে মিশিয়ে সাথে যোগ করুন একটি কলা। রোজ সকালে এই খাবারটি আপনার পেটকে ভালো রাখবে সারাদিন।

একটি দারুণ স্মুদি

হাতে সময় নেই? চট করে বানিয়ে ফেলুন এমন একটি স্মুদি, যা সারাদিন আপনার পেটকে ভালো রাখবে এবং লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ক্ষুধাও লাগতে দেবেন না। পৌনে এক গ্লাস দুধ নিন, এর মাঝে যোগ করুন কলা এবং আপনার পছন্দের যে কোন ফল। পাকা পেঁপে, আভকাডো ইত্যাদি যা আপনার ভালো লাগে। যোগ করুন আধা পিস পাউরুটি বা কয়েকটি ডাইজেস্টিভ বিস্কুট। ব্যাস, ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তৈরি আপনার কুইক নাস্তা।

Leave a Reply