শিশুর একজিমা প্রতিরোধের ৫ উপায়

আপনার শিশুর দেহে যদি লাল দাগ দেখা যায় এবং এগুলো চুলকানো শুরু করে তাহলে তা একজিমা হতে পারে। এ রোগটিতে প্রায় ১০ শতাংশ শিশু আক্রান্ত হয়। শিশুকে এ ধরনের চর্মরোগ থেকে বাঁচাতে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো এ লেখায়।
১. গোসল
শিশুকে বেশি করে গোসল করানো হলে তা একজিমা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুর ত্বকের ব্যাকটেরিয়া থেকে এ রোগ হতে পারে। আর গোসলের মাধ্যমে এ ব্যাকটেরিয়াগুলো সীমিত রাখা সম্ভব, যা একজিমা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন প্রতিদিন একবার করে হালকা গরম পানিতে ১৫ মিনিটের কম সময়ে গোসলের কাজটি সারতে হবে।
২. ময়েশ্চারাইজ
গোসলের পর শিশুর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মাখানো উচিত। তবে এজন্য বেশি ঘষা যাবে না। ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করার পর পুরু একটি ক্রিম মাখানো যাবে। দিনে দুইবার করে এ কাজটি করা যাবে।
৩. ব্লিচ বাথ
যেসব শিশুর একজিমা হয়ে গিয়েছে, তাদের জন্য ব্লিচ বাথ কার্যকর। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজটি কিভাবে করতে হবে তা জেনে সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।
৪. প্রোবায়োটিক
প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট শিশুর একজিমা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে ভিন্ন কয়েক ধরনের প্রোবায়োটিক কিংবা ফিশ অয়েলের সঙ্গে তা গ্রহণ করা যেতে পারে।
৫. দুগ্ধজাত সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ
দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী থেকে একজিমায় আক্রান্ত হতে পারে কিছু শিশু। এক্ষেত্রে মা যদি হজমের সমস্যায় ভোগেন তাহলে সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

Leave a Reply