শীতকালীন ত্বকের ৫টি সমস্যা ও তার সহজ সমাধান..

শীতকাল অনেকেরই ভীষণ প্রিয়। রঙ-বেরঙের ফুল, মজার মজার পিঠা ও বিভিন্ন ধরনের সবজির কারণে শীতকাল আর সব ঋতু থেকে আলাদা। শীতের এই উত্‍সব উত্‍সব আমেজ তাই অনেকেরই পছন্দ। তবে শীতকালের কিছু ভোগান্তিও রয়েছে। আর এ কারণে শীতকাল অনেকের অপছন্দও। বিশেষ করে দেখা দেয় চুল ও ত্বকের বেশ কিছু সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। জেনে নিন এমনই কিছু সমস্যা ও তার সমাধান।

১) ত্বকে বলিরেখার সমস্যা
শীতকালে যেন বয়সের ছাপ একটু বেশিই পড়ে চেহারায়। ত্বকের বলিরেখার সমস্যাও দেখা দেয় বেশি। জেনে নিন সমাধান।

– সারা রাত কিছু কিশমিশ ও কাজু বাদাম আধা কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন এগুলো বেটে সাথে মধু ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শসার রস দিয়ে মুছে নিন।
– মসুর ডালবাটা, মধু ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
– আমন্ড অয়েল ও দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাসাজ করুন। আধা ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

২) তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের দাগ
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয়। তবে শীতকালে ব্রণের দাগ যেন যেতেই চায় না। রইল ব্রণের দাগ দূর করার উপায়।

– ডিমের সাদা অংশ দুই চা চামচ, চন্দনের গুঁড়ো এক চা চামচ ও কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিয়মিত মুখে লাগান। পনেরো মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৩) ত্বকের শুষ্কতা
আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শীতকালে ত্বক আর্দ্রতা হারাতে থাকে। ফলাফল, শুষ্ক ত্বক। জেনে নিন শুষ্কতা দূর করার উপায়।

– নিয়ম করে দুই বেলা ত্বকে ইনটেনসিভ ময়েশ্চারাইজার লাগান। এছাড়া ডিমের হলুদ অংশ ও আমন্ড অয়েলের মিশ্রিত প্যাক মুখে লাগিয়ে পনেরো মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

৪) হাত ও পায়ের খসখসে ও অনুজ্জ্বল ত্বক
শীতে হাত ও পায়ের নেওয়া উচিত বিশেষ যত্ন। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে হাত ও পায়ের চামড়া কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে পড়ে। যত্ন নিন হাত ও পায়ের চামড়ার।

– টক দই, তিলের তেল ও চিনির মিশ্রণের স্ক্রাবিং পেস্ট বানান। গোসলের আগে প্রতিদিন হাত ও পা স্ক্রাব করুন। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

৫) পা ফাটা
শীতকালের একটি অন্যতম সমস্যা হলো পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া। তাই পায়ের নিন বিশেষ যত্ন।

– গরম পানিতে বাথ সল্ট মিশিয়ে ফুট বাথ নিন। পা মুছে উষ্ণ গরম অলিভ অয়েল মাসাজ করুন। এরপর সুতির মোজা পরুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন পেডিকিওর করুন।

Leave a Reply