শীতশেষেও নখের রুক্ষ্মতা

nokhশীতের শুরু বা তীব্র শীতে হাত-পায়ের শুষ্কতা টের না পেলেও শীতশেষে অনুভব করছেন দারুন রুক্ষ্মতা। বসন্তের ঠিক এই সময়টাতে গরমের আভাসে হাত-পা ঘামতে থাকে অবিরাম, অথচ নখের চারপাশের চামড়া উঠে ব্যথার সৃষ্টি করে। চিকোন করে উঠে যাওয়া চামড়ার কারণে ঘাম বা খাবার হাতে লাগলেও জ্বালা করে। এসময় রুক্ষ্মতার কারণে নখ হয়ে যায় ভঙ্গুর। সবমিলে সুন্দর মসৃণ নখের চেহারা একেবারে বিশ্রী দেখায়। তাই সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দরকার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা।

* নখ সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখবেন। নখ ভেজা থাকলে নখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাশ জন্মাতে পারে। এ থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

* বাড়িতেই নিয়মিত মেনিকিউর করে নিতে পারেন। মেনিকিউর ক্লিপার বা কাটার দিয়ে নিয়মিত নখ কেটে নেইল ফাইলার দিয়ে শেপ করে নিন। নখ কাটার আগে উষ্ণ গরম পানিতে নখ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ভেজা নখ নরম থাকে, ফলে কাটতেও সুবিধা হয় এবং নখের কোনো ক্ষতি হয় না।

* অনেক সময় বিভিন্ন কারণে নখ ভেঙে যায়। কোনো কারণে নখ ভেঙে গেলে কখনই টেনে ছিঁড়বেন না। টেনে ছিঁড়লে নখের শেপ নষ্ট হয়ে যাবে। ভাঙা নখ সাবধানে নেইল কাটার দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।

* সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে নখের স্বভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। দু-সপ্তাহ অন্তর নেইল পলিশ ফেলে কয়েকদিন নখ এমনই রেখে দিন। এতে নখে আলো-হাওয়া লাগে, যা নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

* প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নখ ম্যাসাজ করতে ভোলা যাবে না একেবারেই। নেইল পলিশ রিমুভার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ন্যাচারাল ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায় এবং নখ শুষ্ক হয়ে যায়। সপ্তাহে একবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার না করাই ভালো।

* সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং হ্যান্ড ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নিতে হবে। সাবান হাতের ত্বকের পাশাপাশি নখের ময়েশ্চারও নষ্ট করে দেয়।

Leave a Reply