হাঁটি হাঁটি পা করে শীত থেকে প্রকৃতি এখন পুরো গ্রীষ্মে পৌঁছে গেছে। শুষ্ক এ আবহাওয়ায় বাতাসের সঙ্গে ধুলাবালির অযথা ওড়াউড়ি। ঘরবাড়ি যতই পরিষ্কার রাখুন না কেন, একটু পরেই ময়লা এসে জুটে যাবে। জানালায় বড় পর্দা ব্যবহার করলেও রেহাই পাওয়া কষ্টকর। তাছাড়া ধুলাময় পরিবেশ আপনাকে নানা রোগে আক্রান্ত করতে পারে। সেজন্য ঘরে যাতে ধুলা প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হবে সব সময়।
# প্রতিদিন ঘর ঝাড়ু দেয়ার সময় প্রথমে জানালার ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পর সুতি কাপড় হালকা ভিজিয়ে সেটা মুছে ফেলতে পারেন।
# জানালার ভারী পর্দা দুদিন পরপর ধোয়া কষ্টকর। তাই প্রতিদিন পর্দার ওপর জমে থাকা আলগা ময়লা ঝাড়ু দিয়ে ব্রাশ করলে সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
# নিতান্ত সময় কম থাকলে একেক দিন একেক রুমের জানালা পরিষ্কার করতে পারেন। কেননা সব এক দিনে পরিষ্কার করতে গেলে বেশি চাপ পড়তে পারে।
# ভারী পর্দার নিচে পাতলা নেটের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। যাতে ঘরে বাতাস ঢোকার জন্য ভারী পর্দা সরিয়ে রাখলেও নিচের পাতলা পর্দা থাকে। পাতলা পর্দায় বাতাস ঠেকাবে না কিন্তু বাইরের ধুলা ঠেকাবে।
# অনেক ঘরে জানালার ওপর নেট ব্যবহার করা হয়। সেই নেটে যেন ধুলো জমে না থাকে সেজন্য বড় ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
# দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকলে জানালার কপাট বন্ধ করে রাখতে হবে। যাতে দিনের বেলা বাতাসের সঙ্গে ধুলা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে।
# শুষ্ক আবহাওয়ায় যখন তখন বাতাসের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এসময় প্রচুর পরিমাণে ধুলা উড়ে ঘরে প্রবেশ করে। তাই এমন সময় জানালা বন্ধ রাখা জরুরি, নইলে রাস্তার সব ধুলা এসে ভিড় জমাবে ঘরের ভেতর।