অনেক ব্যবহারের কারণে ল্যাপটপে ধুলো জমে। আর অপরিষ্কার থাকলে এর পারফরম্যান্স কমে যায়, কাজ করার সময় হ্যাং হয়ে যায়, রিস্টার্ট নেয় এবং হঠাৎ বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তবে ল্যাপটপ পরিষ্কারের সঠিক নিয়ম জানেন না অনেকেই। আর ভুলভাবে পরিষ্কার করলে ক্ষতি হতে পারে আপনার ল্যাপটপ।
ল্যাপটপ পরিষ্কারের সাধারণ কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলো মেনে ল্যাপটপ পরিষ্কার করা উচিত। যেমন-
* প্রথমেই ল্যাপটপের পাওয়ার সুইচ বন্ধ করুন। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এর সঙ্গে চার্জারের সংযোগ থাকলে সেটিও খুলে নিন।
* এরপর একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ল্যাপটপের স্ক্রিন মুছে নিন। তবে ভেজা বা নোংরা কাপড় ব্যবহার করা ঠিক নয়। আর মনে রাখবেন কাপড়টি সুতির হলে ভালো হয়।
* ময়লা-ধুলোবালি আপনার ল্যাপটপের প্রধান শত্রু। এজন্য কি-বোর্ডের কোণায় কোণায় জমে থাকা ময়লা সরাতে নরম একটি টুথব্রাশ ব্যবহার
করতে পারেন।
* এছাড়া বাজারে ল্যাপটপের উপযোগী স্ক্রিন প্রোটেক্টর, কিবোর্ড প্রোটেক্টর ও মিনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাওয়া যায়। তাছাড়া ধুলোবালি পরিষ্কার করতে কম্প্রেসড এয়ারও ব্যবহার করতে পারেন।
* ল্যাপটের মনিটর মোছার জন্য অ্যালকোহল ও অ্যামোনিয়া যুক্ত ক্লিনার ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা এতে মনিটরের ক্ষতি হয়।
* বাজারে নানা রকমের ক্লিনার স্প্রে পাওয়া যায়। তবে সেগুলো কখনোই ল্যাপটপ বা টিভির মনিটর পরিষ্কারে ব্যবহার করা ঠিক নয়। অনেকেই ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে মনিটর পরিষ্কার করেন; সেটিও ঠিক নয়।
* মনিটর পরিষ্কার করতে সুতির কাপড় ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
* ল্যাপটপ পরিষ্কারের সময় আরও কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন-
* ল্যাপটপ যেহেতু অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন করে তাই একে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য বাজারে নানা ধরনের কুলার পাওয়া যায়। তাছাড়া সূর্যের আলো, হিটার এবং রান্নাঘর থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখা ভালো।
* ল্যাপটপের ভেতরের অংশে পরিষ্কার করতে হলে এর ম্যানুয়াল ভালো করে পড়ে নেয়া উচিত।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর ল্যাপটপ আবারও চালু করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন; সেটি যেন ভেজা না থাকে।