সুন্দর থাকুন সারা বছর একটু যত্নে

প্রতিদিন আমরা নানা বিউটি টিপস সম্পর্কে জানছি। চারপাশ জুড়ে প্রসাধন সামগ্রীর অভাব নেই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে, এগুলোর মাঝে হাতে গোনা কিছু সামগ্রী এবং টিপস আমাদের সৌন্দর্যচর্চায় কাজে লাগে। কেননা সঠিক ভাবে চর্চা না করলে কোনকিছুরই মূল্য নেই। তাই নিজেকে আরো সুন্দর করে তুলতে, হারানো সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে এবং সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে কিছু অত্যন্ত জরুরী ব্যাপার আজ তুলে ধরা হলো। সুন্দর একটি চেহারা পেতে যা কিনা অতি অবশ্য পালনীয়। এগুলো পালন না করে যতই রূপচর্চা করুন না কেন, আসলে সেভাবে কাজে আসবে না কিছুই।

 

সানস্ক্রিন লাগানঃ
সানস্ক্রিন সতেজ এবং তারণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বক ক্যান্সার এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে । তাই ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সারা শরীরে ভালো করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন, শরীরে ভালোভাবে মিশে যাবে।

ত্বককে ময়েশ্চরাইজ করুন:
প্রতিদিন শরীরে ময়েশ্চরাইজিং লোশন মাখুন। এতে আপনার শরীরের ত্বক ভালো থাকার পাশাপাশি বয়সের ছাপ দেরিতে পড়বে এবং ত্বক টান টান থাকবে।

ব্যায়াম করুন:
ত্বকে তারুণ্যের উজ্জ্বলতা দেখতে চাইলে শুধুমাত্র ফেসিয়ালই যথেষ্ট নয়। ব্যায়াম দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে ত্বকে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায়। তাই প্রতিদিন যতটা সম্ভব ব্যায়াম করুন।
পযাপ্ত পরিমাণ খাবার খান।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুনঃ
প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ ফল এবং সবজি খান। ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং ‘ই’ খাওয়ার ওপর বেশি জোর দিন। এ সকল ভিটামিন ত্বকে এন্টি-অক্সিজেন হিসেবে কাজ করে ত্বককে ভালো রাখে। আর খাবার সময়মতো খাবেন। দুপুরের খাবার বিকেলে বা রাতের খাবার মাঝ্রাতে যেয়ে খাবেন না। চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করুন, যাতে পিপাসা না লাগে। এতে শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে।

ত্বকের পরিচর্যায়-
লেবুকে বলা হয় তারুন্য পুনরুদ্ধারকারী। মুখের দাগ দূর করার জন্য বড় সাইজের লেবুর একটি টুকরো মুখে ভাল করে ঘষে সারা রাত রেখে দিন যেন শুকাতে পারে। পরদিন সকালে ঠান্ডা অথবা সাধারন তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা এবং ব্রন থেকে দূরে থাকতে এক গ্লাস গরম দুধে একটি আস্ত লেবুর রস চিপড়ে দিন এবং তাতে এক চা-চামচ গ্লিসারিন মেশান। এবার এই মিশ্রনটি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ত্বকে ব্যবহার করুন। ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে এবং রোদ, ঝড় বৃষ্টি থেকে সারা বছর ত্বককে রক্ষা করতে এই রেসিপিটি বেশ কার্যকর।

চুলের যত্নে-
চুলের যত্নে এবং চিকিৎসায় আমলকির জুড়ি মেলা ভার। চুলের অনেক প্রসাধনীতেও আজকাল আমলকির ব্যবহার হচ্ছে।আমলকি ছোট ছোট টুকরায় কেটে নিয়ে তা ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে শুকিয়ে নিন।তারপর এই শুকরো আমলকির টুকরোগুলো খাঁটি নারিকেল তেলের মধ্যে দিয়ে কাদার মত হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এখন যে তেলটি তৈরী হল তা অকালে চুল পাকা রোধে বেশ কার্যকর।

একগ্লাস পানিতে সারারাত শুকনো আমলকি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে চুল ভেজালে বিশেষ করে চুল ধোয়ার সর্বশেষ পর্যায়ে ব্যবহার করলে তা চুলের পুষ্টি রক্ষা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বেশ উপকারে আসে।

হাত ও ঘাড়ের যত্ন:
মুখের ত্বকের মতোই ঘাড় এবং হাতের ত্বকের যত্ন নিন। কারণ মুখ আর ঘাড়ের ত্বকের মাঝে যদি পার্থক্য থাকে তাহলে তা নিশ্চয়ই ভালো দেখাবে না। নিয়মিত পরিষ্কার এবং ময়েশ্চরাইজ করুন। ঘাড় এবং হাত ও পায়ে মানানসই লোশন ব্যবহার করুন। এতে মুখ এবং ঘাড়, হাত ও পায়ের ত্বকে কোনো দৃশ্যমান পার্থক্য চোখে পড়বে না।

Leave a Reply