Home হেলথ কেয়ার সুস্থ থাকতে যা খাবেন

সুস্থ থাকতে যা খাবেন

by shamim ahmed

বাইরে যখন তীব্র গরম, তখন দেহের ভেতরেও তৈরি হয় বাড়তি তাপ। সবমিলিয়ে গরমে মানুষের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে। ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, কাজে অমনোযোগ- কী নেই সে তালিকায়! গরমে সতেজ অনুভব করতে হলে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান যেমন অত্যাবশ্যকীয়, তেমনি সুস্বাস্থ্যের জন্য বেছে নেয়া প্রয়োজন সঠিক খাবার। এই সময়ে বেশ কিছু খাবার দেহে তৈরি করে বাড়তি ভোগান্তি। তাই গরমে শান্তি চাইলে এড়িয়ে চলতে হবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার।

১. অতিরিক্ত মশলাদার খাবার যেকোনো খাবারে প্রাণ আনে মশলা। তাই বলে অতিরিক্ত মশলা নয়, অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত খাবারের মশলা দেহের জন্য সহনীয়। অতিরিক্ত মশলাদার যেকোনো খাবারই দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং বিপাকক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

২. অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার যেকোনো মাংস, তা সে যতই স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হোক না কেন- গরমকালের জন্য সঠিক খাবার নয়। বিশেষ করে তন্দুরি, মশলাদার মাংস তো এ সময়ে স্বাস্থ্যকর নয়ই। এমনকি মাছ, তা সে পুষ্টিতে ভরপুর সামুদ্রিক মাছ হলেও যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ আমিষ জাতীয় এই খাবারগুলো দেহকে উত্তপ্ত করে, ফলে ঘাম বেশি হয় এবং খাবার হজমে সমস্যা হয়। এ সময় ডায়েরিয়ায় ভোগারও অন্যতম কারণ হলো মাছ-মাংস।

৩. তৈলাক্ত ভাজাপোড়া খাবার মাংসভর্তি বার্গার- তা সে যতো নামী ব্র্যান্ডের দোকান থেকেই কেনা হোক না কেন, এমনকি ঘরে তৈরি তেলে ভাজাপোড়া জাতীয় যেকোনো নাশতা থেকেও গরমে শতহাত দূরে থাকতে হবে।

৪. চা বা কফি চা বা কফি জাতীয় পানীয় দেহে তাপ বাড়ায়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম। চা ও কফির ক্যাফেইন এবং দোকানের অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কেনা পানীয় দেহে পানিশ্যূন্যতা বাড়ায় এবং মুখ ফ্যাকাশে করে ফেলে।

৫. সস যেকোনো ধরনের সস দিয়ে তৈরি খাবার কিংবা শুধু সসও এ সময়ে খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে, পনিরের সস পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সসের সাথে দেহে প্রবেশ করে প্রায় সাড়ে তিনশ’ ক্যালরি এবং এর ফলে আপনার দেহে ক্লান্তি আসবে, শরীর ভার ভার মনে হবে। কিছু সসে অতিরিক্ত মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট  এবং লবণ থাকে। তাই সস ব্যবহার না করে খাবার যতোটা সম্ভব পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক রাখুন।

গরমে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করা উচিত। নিজেকে সদা সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাতে চাইলে এবং দেহে ঝরঝরে অনুভূতি চাইলে ক্ষতিকর খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন এবং সুস্থ থাকুন।

You may also like

Leave a Comment