আমাদের এই সৌরজগতেই রয়েছে আরও দুটি গ্রহ! সম্প্রতি নতুন গ্রহ দুটির অস্তিত্বের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্পেন ও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, প্লুটোর কক্ষপথের বাইরে এই দুটি গ্রহের অবস্থান হতে পারে। কিন্তু এই গ্রহ দুটি এখনো আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে
বর্তমানে সৌরজগতের আবিষ্কৃত গ্রহের সংখ্যা আটটি। সেগুলো হচ্ছে—বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। আগে প্লুটোকে গ্রহের মধ্যে ধরা হলেও পরে ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা ‘বামন গ্রহ’ তকমা দিয়ে গ্রহের তালিকা থেকে প্লুটোকে বাদ দেন। এখনো অনেকেই সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরের গ্রহ হিসেবে প্লুটোকেই বোঝান।
অবশ্য, ব্রিটিশ জার্নাল ‘মান্থলি নোটিশেস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’তে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্লুটোর বাইরেও এখনো দুটি অনাবিষ্কৃত গ্রহ এই সৌরজগতে রয়ে গেছে।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের এই অনুমানের ভিত্তি হচ্ছে প্লুটোর বাইরের কিছু গ্রহাণুর কক্ষপথের অস্বাভাবিক আচরণ। এই গ্রহাণুগুলো এক্সট্রিম ট্রান্স-নেপচুনিয়ান অবজেক্টস বা ইটিএনওস নামে পরিচিত। গবেষকেরা এক ডজনের বেশি ইটিএনওস দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, সেগুলো স্বাভাবিক আচরণ করে না। এগুলো এমনভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করে যেন কোনো গ্রহের মতো বিশাল বস্তুর মহাকর্ষীয় শক্তি তাদের আটকে রেখেছে।
এই গ্রহাণুগুলো অস্বাভাবিক কক্ষপথের পরিভ্রমণ দেখে আমাদের মনে হয়েছে অদৃশ্য কোনো শক্তি তাদের কক্ষপথকে আলাদা করে ফেলেছে। এ ধরনের গ্রহের সংখ্যা কত হতে পারে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে হিসাব করলে দেখা যাবে সৌরজগতে কমপক্ষে আরও দুটি গ্রহ রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে জ্যোতির্বিদ্যার জন্য তা সত্যিকারের যুগান্তকারী ঘটনা হবে। তবে এ তত্ত্বের এখনো সরাসরি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।