সেই সময়ও মাথা ঠাণ্ডা রেখে হাসি মুখ করে তাকে ধন্যবাদ জানানোই ভালো। যতক্ষণ আমাদের মনোভাব ইতিবাচক থাকবে ততক্ষণ সামান্য মিথ্যেও মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে না।
কিভাবে একজন মানুষ ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারে? এ ব্যাপারে মনোচিকিৎসক ও ‘লাইফস্টাইল’ পরামর্শক ডা. এসকে শর্মা ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন।
৩. অভিজ্ঞতা অর্জন করুন: একজন মনোযোগী পর্যবেক্ষক হোন। আপনার চারপাশে খেয়াল রাখুন। কিভাবে আপনি আরো বেশি ইতিবাচক উপাদান আয়ত্ত করতে পারবেন তার জন্য দৈনন্দিন জীবনের কর্মকাণ্ডে মনোযোগী হোন। এটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো বেশি ইতিবাচক করে তুলবে। সময় বাঁচিয়ে আপনাকে কাজ করে যেতে হবে। পরিচিত ‘চেহারা’র যে মূল্য আছে এ ব্যাপারটাকেও কাজে লাগানো শিখতে হবে। আপনার ভেতরে এই ক্ষমতাও তৈরি করতে হবে যেন আপনার আশেপাশের মানুষ আপনার কর্মকাণ্ডে প্রভাবিত হয়।
৪. পরিশীলিত করুন বক্তব্য ও শরীরের ভাষা: ভাষায় মার্জিত ও ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। সহকর্মীদের সাথে মিশতে হবে কাছাকাছি থেকে এবং বন্ধুত্বপূর্ণভাবে । শারীরিক উপস্থাপনা সবসময় পরিশীলিত থাকবে। আপনার আশেপাশে আনন্দময় কিছু ঘটলে চেহারায় আনন্দ ও সুখী সুখী ভাব নিয়ে আসুন। হাসির কিছু ঘটলে মুখে হাসি নিয়ে আসুন। কাছের মানুষদের মধ্যে কেউ নতুন কিছু অর্জন করলে তাকে অভিনন্দন জানাতে ভুলবেন না। তাদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলার সুযোগ তৈরি করে দিন। এটা ভাববেন না যে আপনি একাই বুদ্ধিমান, আপনার চারপাশেও বুদ্ধিমানেরা আছে। কৌশলে চলুন।
৭. সবকিছু সহজেভাবে গ্রহণ করুন: প্রাত্যহিক জীবন থেকে আপনি আঘাত পেতে পারেন। এটা মেনে নিতে আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনাকে প্রতিদিন ভীড়ের মধ্যে গাড়ি চালাতে অথবা পার্কিং করতে হতে পারে। যখন আপনি এই ব্যাপারগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন আর কোনো সমস্যাই হবে না। নিজেকে এবং আপানার চারপাশের দুনিয়াকে খুব হালকাই মনে হবে।
৮. যোগ ব্যায়াম শিখে নিন: যোগ ব্যায়ামের শিক্ষক ও পুষ্টিবিদ অভিলাষ কেইল বলেন, ‘প্রতিদিন প্রার্থনা করুন, এটা আপনার ভেতরকে প্রকাশ করতে সহায়তা করবে, আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে শেখাবে।’ এটা যে শুধু নিরবেই সুখ বিচ্ছুরিত করবে তা নয়, খুব অল্প সময়েই আপনার ইন্দ্রিয়কে সচেতন করে তুলবে। যোগব্যায়মের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ফলে আপনার মনকেও বিস্ময়করভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন। সব সময় যোগ ব্যায়াম করুন, কেননা আপনি অনুভব করতে পারবেন আপনার শিরা-উপশিরায় ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হচ্ছে, যা আপনার স্নায়ুকে স্থিতিশীল রেখে আপনার মানসিক অবস্থাকে উন্নত করবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এর ফলে আপনার সহনশীলতা বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।