৩ দিনে দ্রুত ওজন কমানোর দারুণ কৌশল মিলিটারি ডায়েট

ওজন কমানো সবচাইতে যন্ত্রণাদায়ক একটি কাজ। কারণ ওজন যতো দ্রুত বাড়তে থাকে ততো দ্রুত কমানো যায় না একেবারেই। শত পরিশ্রমে এবং কঠোর নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমেই ওজন কমানো সম্ভব। আজকে চলুন এমনই একটি ডায়েটিং নিয়মের সাথে পরিচিত হয়ে নিন।

৩ দিনের ‘মিলিটারি ডায়েট’ আসলে কি?

মূলত কম ক্যালরি গ্রহন করাটাই এই মিলিটারি ডায়েটের মূল ভিত্তি। ধরা যায় ৩ দিনের এই ডায়েটের মাধ্যমে ১ সপ্তাহে কমিয়ে ফেলা সম্ভব প্রায় ১০ পাউন্ডের মতো ওজন। এটি বেশ সহজ, সস্তা এবং স্বাস্থ্যকর একটি ডায়েট রুটিন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এই ডায়েট রুটিনটি।

প্রথম দিন

সকালের নাস্তাঃ
১) ১ পিস পাউরুটি- ৬৭ ক্যালরি বা হাতে তৈরি লাল আটার রুটি ১ টি।
২) ১ টি কমলা বা ৫২ ক্যালোরির ফল
৩) ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার- ১৮৮ ক্যালরি
৪) চিনি ছাড়া চা/কফি

দুপুরের খাবারঃ
১) আধা কাপ টুনা মাছ (৮৯ ক্যালরি) কিংবা সমপরিমাণ ক্যালোরির অন্য খাবার
২) ১ পিস পাউরুটি বা রুটি
৩) চিনি ছাড়া চা/কফি (যদি ইচ্ছে হয়)

রাতের খাবারঃ
১) ২০০ ক্যালোরির সমপরিমাণ মাংস
২) ১ কাপ বীণ বা ৩৪ ক্যালরি সমপরিমাণ সবজি
৩) অর্ধেক কলা- ৫৩ ক্যালরি
৪) ১ টি ছোটো আপেল- ৫৫ ক্যালরি
৫) ২০০ ক্যালরি পরিমাণের নিজের পছন্দের খাবার

দ্বিতীয় দিন

সকালের নাস্তাঃ
১) ১ টি সেদ্ধ ডিম- ৭৮ ক্যালরি
২) ১ পিস পাউরুটি- ৬৭ ক্যালরি
৩) অর্ধেক কলা- ৫৩ ক্যালরি

দুপুরের খাবারঃ
১) ২৩২ ক্যালোরির সমপরিমাণ পছন্দ অনুযায়ী খাবার
২) ১ টি ডিম সেদ্ধ- ৭৮ ক্যালরি
৩) ৬৪ ক্যালরি সমপরিমাণ সবজি

রাতের খাবারঃ
১) ৩৫০ ক্যালরি সমপরিমাণ মাছ/মাংস
২) ১ কাপ ব্রকলি সেদ্ধ- ৫৪ ক্যালরি
৩) আধা কাপ গাজর- ৪১ ক্যালরি
৪) অর্ধেক কলা- ৫৩ ক্যালরি
৫) ১৪৪ ক্যালরি সমপরিমাণ অন্যান্য খাবার

তৃতীয় দিন

সকালের নাস্তাঃ
১) ৫ টি সল্টেন ক্রাকার- ৬৪ ক্যালরি
২) ১১৩ ক্যালরি সমপরিমাণ ১ স্লাইস চীজ বা অন্যান্য খাবার
৩) ১ টি ছোটো আপেল- ৫৫ ক্যালরি

দুপুরের খাবারঃ
১) ১ টি ডিম সেদ্ধ- ৭৮ ক্যালরি
২) ১ পইস পাউরুটি- ৬৭ ক্যালরি

রাতের খাবারঃ
১) ১৭৯ ক্যালরি সমপরিমাণ মাছ/মাংস
২) অর্ধেক কলা- ৫৩ ক্যালরি
৩) ২৮৯ ক্যালরি সমপরিমাণ অন্যান্য খাবার

মনে রাখুনঃ

– আপনি চাইলে পুরো দিনের ক্যালোরির পরিমাণ সঠিক রেখে নিজের পছন্দের খাবার খেতে পারেন তবে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে। এবং ক্যালরি কম বেশি করা যাবে না।
– ক্যালোরির পরিমাণ সঠিক রেখে ৩ বেলার খাবার ৫ বেলা খাওয়া যাবে।
– অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন ডায়েট চলাকালীন সময়ে।
– অসুস্থ এবং গর্ভধারণ বা গর্ভ পরবর্তী সময়ে এই ডায়েট করা যাবে না একেবারেই।
– ওজন কমিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। নতুবা সপ্তাহ পর আবার ওজন বাড়তে শুরু করবে।

Leave a Reply