আপনার সন্তানের আঙুল চোষা রোগ নিয়ন্ত্রনে আনবেন যেভাবে

147

দিনের অধিকাংশ সময় তার বৃদ্ধাংগুলি মুখে প্রবেশ করিয়ে রাখে। প্রথম প্রথম নাফিসের(ছদ্মনাম) বাবা-মা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয় নি। তারা ভেবেছিলেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের সন্তান এই বদভ্যাসটি পরিত্যাগ করতে পারবে। কিন্তু তাদের ধারনা ভুল ছিল। ধীরে ধীরে নাফিসের এই বদভ্যাসটি আরও প্রকট হচ্ছে। প্রথম দিকে শুধু ঘুমের সময় নাফিস তার মখে আঙুল প্রবেশ করিয়ে রাখত কিন্তু এখন সে প্রায় সারাদিনই এই কাজে লিপ্ত থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার দরুন নাফিসের বাবা-মা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। চিকিৎসক নাফিসের এই অবস্থাকে ‘আচরণগত সমস্যা’ হিসেবে চিন্হিত করেছেন।

চিকিৎসকদের মতে, নাফিসের মত এরকম অনেক শিশুই রয়েছে যারা শৈশবে এরকম আচরণগত সমস্যায় ভুগে থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এসব আচরণগত সমস্যা থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। কিন্তু বেশি দেরি হয়ে গেলে এই আচরণগত সমস্যা বড় হলেও রয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। তাই জেনে নিন যে ৫ টি উপায়ে আপনার সন্তানের আঙুল চোষা রোগ নিয়ন্ত্রনে আনবেন-

১। সন্তানের প্রতি আরও যত্নবান হউন-

সবসময় খেয়াল রাখুন আপনার সন্তান অকারনে আঙুল চুষছে কি না। অনেক শিশু জন্মের সময় থেকেই আঙুল চুষে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু একটু বড় হতে থাকলে ধীরে ধীরে তার অভ্যাস পরিত্রানে সহয়তা করুন।

২। কেন সে আঙুল চুষছে তার কারন খুঁজে বের করুন-

চিকিৎসকদের মতে, নিরাপত্তা বোধের অভাব থেকে সৃষ্ট মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতেই শিশুরা আঙুল চুষে থাকে। আপনার সন্তানকে জিজ্ঞেস করুন কেন সে আঙুল চুষছে। সে নিজে যখন বুঝতে পারবে আঙুল চোষার পেছনে যথাযথ কোন কারন নেই তখন সে নিজেই এই বদভ্যাস থেকে পরিত্রান পেতে পারবে।

৩। সন্তানের কাছে আঙুল চোষার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন-

অপরিস্কার আঙুল মুখে পুরলে বিভিন্ন ধরনের পেটে অসুখ, কৃমি ইত্যাদি দেখা দেয়। আপনার সন্তান যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় তবে এই রোগের কথা তাকে খুলে বলুন। এর ফলে সে মুখে আঙুল পোরায় নিরুৎসাহিত হবে।

৪। শাসন নয়, বুঝিয়ে বলুন-

আপনার সন্তান যদি মুখে আঙুল পোরা বন্ধ না করে তবে তাকে শাসন করবেন না, এতে অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে। তাকে বুঝিয়ে বলুন এর নেতিবাচক দিক সম্মন্ধে।

৫। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন-

যদি কোনভাবেই অবস্থার উন্নতি না ঘটে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply