জরায়ুর মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করবেন কিভাবে

জরায়ুর মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করবেন কিভাবে

আমাদের দেশে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম নয়। এর অন্যতম একটি কারণ নারীদের সচেতনতার অভাব। জরায়ুর মুখের (Cervix) ক্যান্সার কিন্তু একদিনেই হয় না। নিয়মিত চেকআপে থাকলে এবং সচেতন হলে এ ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ জন্য উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের ক্যান্সার নেই বললেই চলে। যে যে কারণে জরায়ুর মুখের ক্যান্সার হতে পারে, কারা এই ক্যান্সারে ঝুঁকির আওতায় পড়েন, কিভাবে, কোথায় চেকআপ করাবেন- এসব তথ্য আপনার কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে। যেমন- যেসব মহিলার বয়স ত্রিশ বা বেশি, যারা অল্প বয়সে মা হয়েছেন কিংবা অল্প বয়সে অধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যাদের স্বামীর একের অধিক যৌনসঙ্গী আছে কিংবা অনুন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থা, কিছু কিছু কুসংস্কার, নিয়মিত জরায়ুর মুখ চেকআপ না করাসহ আরো কিছু কারণ রয়েছে। তবে আপনি বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক সবাই আপনাকে সেবা দেবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে আপনি কী করবেন?
# আপনার বিবাহিত জীবনের বয়স যদি ১০ বছর কিংবা তার বেশি হয়।
# আপনার নিজের বয়স যদি ৩০ বছর কিংবা তার বেশি হয়।
#যদি আপনার অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে থাকে।
# কিংবা অল্প বয়সে অধিক সন্তান জন্মদান করে থাকেন।
#আপনার মাসিকের পথ থেকে অনিয়মিত রক্তক্ষরণ, কিংবা বেশ কিছু দিন যাবৎ দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব যেতে থাকে কিংবা স্রাবের সাথে সাথে তলপেটেও ব্যথা অনুভব করেন প্রায়ই।
# স্বামীর সাথে মেলামেশার পর যদি মাসিকের পথে তাজা রক্তক্ষরণ হয়।
তবে দেরি না করে আপনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিংবা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং জরায়ু পরীক্ষা করান। কোনো অবস্থাতেই দেরি করবেন না। আপনার ভয় কিংবা সংকোচের কোনো কারণ থাকতে পারে না। এই চেকআপে আপনার শারীরিক কোনো ক্ষতিও হবে না। অনেকে মনে করেন ব্যথা পাবেন কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া মানে অজানা আতঙ্ক। এসব কুসংস্কার বাদ দিন। আপনি নির্ভয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা চিকিৎসককে আপনার সমস্যার কথা বলুন। সমস্যা যে থাকতেই হবে সবসময় এমনটিও নয়। ত্রিশের পরে নিয়মিতভাবে তিন বছর পরপর অথবা কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথেই আপনার জরায়ুর মুখের অবস্থা জানা উচিত। কাজেই আর দেরি নয়। নিজে সতর্ক হোন। ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা এবং ঝুঁকি এড়ান। আপনার আশপাশে যারা আছেন যেমন আপনার বোন, মা, ননদ-শাশুড়ি, প্রতিবেশী আপনার সাধ্যমতো সবাইকে এ সম্পর্কে বলুন। মনে রাখবেন এ ক্ষেত্রে নিয়মিত চেকআপ এবং সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।

 

Leave a Reply