ত্বক পরিষ্কার করার কাজে টোনারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ময়লা গভীর থেকে দূর করে স্কিন পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে টোনার সাহায্য করে। টোনার সাধারনত সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর এবং মেকআপ করার পূর্বে ব্যবহার করা হয়।
এটি মুখের লোমকূপ গুলোকে ছোট করে এবং অত্যাধিক তৈলাক্ত উপাদান গুলো বের করে দেয়। ফলে আপনি পান ফ্রেশ, মসৃণ, পরিষ্কার এবং হেলদি গ্লোয়িং স্কিন। তবে ভাল ফলাফল পেতে এই স্কিন টোনারের ব্যবহার হতে হবে সঠিকভাবে।
টোনারের সঠিক ব্যবহার-
* প্রথমেই নিজের ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে আপনাকে টোনার বাছাই করতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের টোনার পাওয়া যায়। আমাদের এমন ধরনের টোনার বাছাই করতে হবে, যাতে অ্যালকোহল নেই। কারন অ্যালকোহল ত্বকের আদ্রতা শুষে নিয়ে, ত্বককে আরও শুষ্ক করে ফেলে। আপনার ত্বক যদি ব্রনযুক্ত হয়, তবে ব্রনের জন্য বাজারে আলাদা ধরনের টোনার পাওয়া যায়।
* টোনার ব্যবহারের পূর্বে আপনার মুখ ভালভাবে ধুয়ে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে।
* এবার তুলোর বলে অল্প পরিমান টোনার নিতে হবে। তুলোর বলে খুব বেশি টোনার দ্রবণটি শুষিয়ে নেবেন না। এমন ভাবে নেবেন যেন ত্বক শুষ্কও না থাকে আবার ভেজা ভেজাও না থাকে।
* তুলোর বলের সাহায্যে আলতো করে মুখে টোনার লাগাতে হবে। মুখের সকল স্থানে টোনার লাগাতে হবে। নাকের পাশে এবং হেয়ার লাইনগুলোতে ভাল করে লাগাবেন। সতর্ক থাকতে হবে যেন লাগানোর সময় ঘষাঘষি করা না হয়।
* টোনারটি মুখে ভালভাবে শোষণ হবার জন্য, খানিকক্ষন সময় দিন। এরজন্য দুই মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
* এবার ভালো কোন ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন অথবা মেকআপ শুরু করুন।
সতর্কতাঃ
* টোনার এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যেন চোখের আশেপাশে বা অসাবধানতা বশত চোখের ভিতরে না যায়।
* ত্বকের কোমল অংশগুলোতে টোনার ব্যবহার করা যাবে না।
* যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে আপনি প্রতিদিন বা কয়েকদিন পর পর টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
* টোনার লাগানোর আগে তুলোর বলটি হালকা গরম পানিতে ডুবিয়ে, চিপরিয়ে নিয়ে তারপর টোনর ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।