যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক মাইকেল ফিলিপস এর মালিকানাধীন মেনসানা রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা এ পদ্ধতির উদ্ভাবক। স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে এটি কাজে লাগানো যাবে। এতে প্রথমে একজন নারীর নিঃশ্বাস প্রবাহিত করানো হবে একটি যন্ত্রের মধ্য দিয়ে।
ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে কোনো নারীর শরীরে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য এক্স-রে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে একজন নারীর বিবস্র হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ক্যান্সার থাকুক না থাকুক, ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করতে গিয়ে সব নারীকেই এই বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতিতে ক্যান্সার শনাক্ত করা হবে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে।
এরপর আক্রান্তদেরই কেবল ম্যামোগ্রাম করাতে হবে ক্যান্সার কোষের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য। ফলে অহেতুক এক্স-রে বিকিরণের শিকার হওয়াটাও এড়ানো যাবে।
ড. ফিলিপ আশা করছেন, শুধু স্তন ক্যান্সার নয়, অন্য নানা ধরনের ক্যান্সার এমনকি এর বাইরেও বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যাবে এই নিঃশ্বাস পদ্ধতি।
অদূর ভবিষ্যতে রক্ত কিংবা মূত্র পরীক্ষার পাশাপাশি এই নিঃশ্বাস পরীক্ষাও সমানতালে ব্যবহৃত হবে। নানামুখী সুবিধার জন্য ইউরোপে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।