মূলার স্বাস্থ্যগুণ – মূলার উপকারিতা

মূলা দেখলেই নাক কুঁচকে ফেলেন? অথচ এই সস্তা সবজিটি আপনাকে রাখতে পারে অসংখ্য অসুখ থেকে দূরে, নিরাময় করতে পারে অসংখ্য রোগ। কেবল আমরা জানি না বিধায় এই ভীষণ উপকারী সবজিটির কদর করি না!
মুলা  Cruciferae গোত্রের জনপ্রিয় সবজি, Raphanus sativus পাতা ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ও ‘সি’ সমৃদ্ধ।
আমাদের দেশে সাদা ও লাল দুই প্রকার মূলা দেখা যায়। পুষ্টি গুণের দিক দিয়ে দু’টিই সমান মূল্যবান। মূলার চেয়ে মূলার পাতার গুণ বেশি। কচি মূলার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায় এবং খুবই মজাদার। পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি পাওয়া যায়।

মূলার স্বাস্থ্যগুণ

মূলার স্বাস্থ্যগুণ

কতিপয় স্বাস্থ্যগুণ-

  • -ভাত/রুটি খাওয়ার সময় কাঁচা মূলা খেলে তাড়াতাড়ি হজম হয় ও রুচি বাড়ে। কচি মূলার সালাদ ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। যারা জ্বরে ভুগছেন ও মুখের রুচি নেই, তারা মূলা কুচি কুচি করে কেটে চিবিয়ে খান। জ্বর কমবে, মুখের রুচিও বাড়বে। গুরুপাক খাবারের ফলে যাদের পেটে ব্যাথা ও গ্যাস জমা হয়, তারা মূলার রসের সাথে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভাল ফল পাবেন।
  • -শ্বেত রোগীদের চিকিৎসায়  এন্টি কারসেনোজিনিক উপাদান সমৃদ্ধ মুলার বীজ আদার রস এবং ভিনেগারে ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। অথবা কাঁচা মূলা চিবিয়ে খেলেও কাজ হবে।
  • -ত্বক পরিচর্যায়ও মুলা ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। কাঁচা মুলার পাতলা টুকরা ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ নিরাময় হয়। এছাড়া কাঁচা মুলা ফেস প্যাক এবং ক্লিনজার হিসেবেও দারুন উপকারী।
  • – যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তারা নিয়মিত মূলা খেলে বুকের দুধ বাড়বে।
  • পাইলসে মূলা অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত মূলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, ফলে পাইলস রোগে আরাম হয়। যাদের পাইলসের কারণে রক্ত পড়ে তারা টানা দু সপ্তাহ মূলা খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
  • – রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। সেই সাথে লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্ত দুষন এবং বর্জ্য পরিস্কার করে থাকে। মুলা কিডনি রোগসহ মূত্রনালির অন্যান্য রোগে উপকারী।

Leave a Reply