বিগ ব্যাং আসলে ঘটেনি বলছে কোয়ান্টাম ইকুয়েশন

বিগ ব্যাং থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শুরু- এ ব্যাপারটিকে সত্য বলে মেনে নেন অনেক গবেষক। কিন্তু দুই পদার্থবিদ এখন এ বিষয়টিকে নিয়ে সন্দেহের অবতারণা করেছেন। তাদের মতে, বিগ ব্যাং বলতে কিছু ঘটেইনি।

আমাদের পরিচিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সাথে তাদের গবেষণায় উপস্থাপন করা পৃথিবীর বিশাল ফারাক। ফ্রেড হয়েল নামের এক অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট “বিগ ব্যাং” কথাটি ব্যবহার শুরু করেন। সে সময়ে এমন সব প্রমাণ পাওয়া যায় যা থেকে গবেষকেরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বিশ্বের সৃষ্টি হলো একটি মাত্র বিন্দু থেকে। কিন্তু বিগ ব্যাং এর পূর্বে কি ছিলো সে চিন্তা সবসময়েই পীড়া দিয়েছে গবেষকদের। এর পাশাপাশি ঠিক কি করে বিগ ব্যাং এর বিস্ফোরণ ঘটে সে ব্যাপারেও প্রশ্ন থেকেই যায়।

বিগ ব্যাং সিঙ্গুলারিটি হলো জেনারেল রিলেটিভিটির সবচাইতে বড় সমস্যা কারণ পদার্থবিদ্যার কোনো নিয়মই সেখানে খাটে না। ইজিপ্টের বেনহা ইউনিভার্সিটির ডক্টর আহমেদ ফারাগ আলি এবং কানাডার লেথব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সরিয়া দাস একত্রে তৈরি করেন এমন কিছু ইকুয়েশন যা তৈরি করে অন্তবিহীন এক বিশ্বের চিত্র। একটি অসীম নদীর মতো এই বিশ্বের কোনো শুরু নেই, কোনো শেষও নেই। তারা আগে থেকেই বিগ ব্যাং থিওরি ভুল প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে এসব ইকুয়েশনের অবতারণা করেননি। বরং তাদের এসব ইকুয়েশনের মাধ্যমে তারা ডেভিড বোম এবং অমল কুমার রায়চৌধুরীর কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কাজ একত্রিত করার চেষ্টা করছিলেন। তারা দেখেন, বোমের কাজের মাধ্যমে রায়চৌধুরীর ফরমেশন অফ সিঙ্গুলারিটিজ ইকুয়েশন ঠিক করতে গিয়ে চলে এসেছে এমন এক মহাবিশ্বের চিত্র যা এক সময়ে অনেক ছত ছিলো কিন্তু বিগ ব্যাং থিওরিতে যেমন বলা হয়েছে তেমন একটি বিন্দুতে কখনো কেন্দ্রীভূত ছিলো না।ও প্রফেসর আলি এবং দাস দাবি করছেন না যে তারা কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটির একটি নিখুঁত থিওরি তৈরি করে ফেলেছেন। বরং তারা মনে করছেন তাদের এই কাজ ভবিষ্যতে আর কাজে আসবে।

আলি এবং দাস এর অতীতের আরেকটি কাজে বলা হয়, মহাবিশ্ব এক গ্র্যাভিট্রন নামের কণিকা দিয়ে তৈরি এক ধরণের ফ্লুইড দিয়ে পরিপূর্ণ। এসব কণিকার সম্ভবত নিজের কোনো ভর নেই কিন্তু তারা মহাকর্ষ বল পরিবহন করে থাকে। এর মাধ্যমেই তারা ব্যাখ্যা করেন কেন মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে আগের চাইতে আর দ্রুত ত্বরণে এবং ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্বও ব্যাখ্যা করা যায়।

Leave a Reply