দুর্বল স্মৃতিশক্তির জন্য আমরা দৈনন্দিন কাজে অনেক সমস্যায় পড়ে যাই। ছোটোখাটো জিনিস কোথায় রেখেছি তা হুট করেই ভুলে যাই, মাত্র ৫ মিনিট আগের বলা কথার স্মৃতিও হারিয়ে যায় মস্তিষ্ক থেকে। এইসকল ছোটোখাটো ব্যাপার খুব বেশি ঝামেলা তৈরি না করলেও এগুলো সত্যিকার অর্থেই যন্ত্রণার। কিন্তু এই দুর্বল স্মৃতিশক্তির জন্য আসলে আমরা কিছুই করি না। এভাবেই নিজেদের টেনে নিয়ে চলি দিনের পর দিন। কিন্তু এটি কোনো সমাধান নয়। আসুন আজকে শিখে নিই মস্তিষ্কের দারুণ কিছু ব্যায়াম যা বাড়িয়ে দেবে আপনার স্মৃতিশক্তি।
১) নিজে নিজে কথা বলুন
নিজে নিজে কথা বলা বা আপনমনে কথা বলার কাজটি খুব বেশি পাগলামি মনে হলেও এটি অনেক বেশি কার্যকরী। গবেষণায় দেখা যায় যারা আপনমনে কথা বলেন তাদের স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা অন্যান্যদের বেশ কম। এমনকি নিজেকেই নিজে গল্প শোনানোর বিষয়টি স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা দূর করে।
২) পাজল বা ওয়ার্ড গেম ধরণের খেলা খেলুন
গবেষণায় দেখা যায় যাদের নিয়মিত পাজল সমাধান, স্ক্রাবল, সুডোকো মেলানোর অভ্যাস রয়েছে তাদেড় মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। এছাড়াও তাদের স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা জনিত সমস্যাও হয় না। তাই সময় পেলেই এইধরনের খেলা খেলে নিন।
৩) মেলোথেরাপি
মিউসিক থেরাপিকে সাধারণত মেলোথেরাপি বলা হয়। এই মেলোথেরাপির মাধ্যমে একদিকে মনোযোগ নির্দিষ্ট হওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। গবেষণায় দেখে গিয়েছে ক্লাসিক ধরণের গান মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় শিশু কিশোরদের মধ্যে। এবং এটি স্মৃতিশক্তি দুর্বলতাও কমিয়ে দেয় একেবারেই।
৪) বই পড়া
বই পড়া হচ্ছে মস্তিষ্কের সবচাইতে ভালো ব্যায়াম। যেধরণের বইই হোক না কেন বই পড়ার বিষয়টি মস্তিষ্কের নার্ভ সচল রাখতে সহায়তা করে। এমনকি খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন যাই হোক না কেন অবসর সময়ে তা পড়ে নিলে মস্তিষ্কের বেশ ভালো ব্যায়াম হয়। এতে করে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
৫) নতুন ভাষা শেখা
নতুন একটি ভাষা শেখা এবং লেখার মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে তেমনই কমে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা। নতুন একটি ভাষা শেখা, বোঝা এবং প্রয়োগ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ে যা স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল হতে বাঁধা দেয়।