মিষ্টি কুমড়া ভালো রাখে চোখ ত্বক দাঁত, কমায় ওজনও।

প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউজ’ বলা যেতে পারে মিষ্টি কুমড়াকে। সুস্বাদু সবজিটি পাওয়া যায় বছর জুড়েই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া থাকলে অনেক অসুখ-বিসুখের হাত থেকে দূরে থাকা যায়। কেননা, মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। আসুন, জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার গুনাগুণ।

মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে বহু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই। কপার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানেও সমৃদ্ধ এ সবজি। তাই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই একে ‘সুপারফুড’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

চোখের যত্নে: মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ; যা চোখে ছানি পড়া ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এ সবজি রাখার ফলে দৃষ্টিশক্তি আরও প্রখর হবে এবং চোখের ছোটখাটো কিংবা মারাত্মক কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

ত্বকের যত্নে: ত্বকের সুরক্ষায় মিষ্টি কুমড়ার ভূমিকা অসামান্য। ত্বক সুরক্ষাকারী উপাদান বিটা ক্যারোটিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এ সবজিতে; যা ত্বককে আরও মসৃণ ও কমনীয় করে তোলে। মিষ্টি কুমড়ায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় ত্বকে সহজে বলিরেখা বা ভাঁজ পড়বে না। আর ভিটামিন সি থাকায় ত্বক হয় লাবণ্যময়। এতে আলফা ক্যারোটিন জাতীয় উপাদান থাকার ফলে বার্ধক্যও আসে দেরিতে।

দাঁত ও হাড়ের যত্নে: মিষ্টি কুমড়ার শাঁসালো অংশে এবং এর বীজ বা দানায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি হাড় ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অভ্যাস দাঁত ও হাড়কে করবে আরও মজবুত।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা দেয়। ফলে মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়।

সর্দি-কাশি প্রতিরোধে: মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি; যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই।

ওজন কমাতে: মিষ্টি কুমড়ায় কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই এবং এতে ক্যালোরির মাত্রাটাও সামান্য। এতে রয়েছে পুষ্টিকর আঁশ। এ সবজিটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে ও ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।

এছাড়া হার্টের অসুখ, হাইপারটেনশন, বাত ইত্যাদি মারাত্মক সব রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর এ সবজি। বয়সজনিত কারণে মাংসপেশীর যে রোগ হয়- তাও প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়া।

Leave a Reply