যেসব খাবার থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখবেন

72

বাবা মায়েরা বেশির ভাগ সময়েই বুঝে উঠতে পারেন না তার শিশুকে কী খাওয়াবেন আর কী খাওয়াবেন না। অনেকেই বাচ্চার ইচ্ছাটাকেই গুরুত্ব দেন। বাচ্চা যেটা চায় সেটাই তুলে দেন হাতে। বিশেষ করে যাদের বাচ্চা খেতে চায় না একদম, তারা এক কাজটি বেশি করেন। একবারও ভেবে দেখেন না যে সাধারন খাবারও শিশুর ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কোন ধরণের খাবার মায়েদের এড়িয়ে চলা উচিত সে বিষয়ে রইল কিছু তথ্য।

-শিশুদের গরুর দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা গরুর দুধ হজম করতে পারে না। এর ফলে বমির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই শিশুর ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধই সবচেয়ে উপযোগী এছাড়াও ফর্মুলাজাত দুধও শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে।

-বাজারে প্রচুর ফ্রুট ফ্লেভারের মিষ্টি ক্যান্ডি পাওয়া যায়। বেশির ভাগ বাচ্চাই এগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু এগুলি শিশুদের ক্ষেত্রে ভীষণই ক্ষতিকারক। কারণ এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি থাকে এবং একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। এছাড়াও অনেকসময় এগুলি শক্ত হয়ে যায় যা বাচ্চাদের গিলতে অসুবিধে হয়।

-ফাস্ট ফুড ও ডুবো তেলে ভাজা খাবার থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন।

-কোলা জাতীয় নরম পানীয় শিশুদের একেবারে না খাওয়ানেই উচিত। এতেও প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে৷ যা শিশুর শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। বাচ্চারা যদি এই জাতীয় পানীয় খাওয়া অভ্যেস করে তবে তারা পরবর্তীকালে ওবেসিটির শিকার হতে পারে।

-খুব বেশি টক ও ঝাল থেকে দূরে রাখুন।

– মাশরুম, কচু, চিংড়ি ইত্যাদি খাবারে অনেকেরই এলারজি থাকে। তাই শিশুকে কিছু খাওয়ানোর আগে ভালো মত ভেবে দেখুন।

-কেচআপ এবং আচারে নকল রঙ ব্যবহার করা হয় এবং এগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হয় তাই এই জাতীয় খাবার শিশুর ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও এই ধরণের খাবারের প্রচুর পরিমাণে সোডিয়ামের উপাদান থাকে শিশুদের শরীরে খারাপ প্রভাব বিস্তার করে।

-চিজে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও ক্যালোরি বর্তমান। কিন্তু এই জাতীয় খাদ্যও শিশুর হজম করতে অসুবিধে হয়। এছাড়াও চিজ থেকে শিশুর বদহজম ও পেটে ব্যথা হতে পারে।

-প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ানো থেকেও বিরত থাকুন অনেক সময় প্যাকেটজাত খাবারের গায়ে যে পুষ্টিগত উপাদানের বর্ণনা দেওয়া থাকে তা সত্যি নাও হতে পারে। এছাড়া প্যাকেটের খাবারে ব্যবহার করা হয় নানান রকম প্রিজারভেটিভ ও রঙ। তাই এসব থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

Leave a Reply