রেড মিট বা লাল মাংসে এমন এক সুগার পাওয়া গেছে যা মানুষের দেহে থাকে না। এর নাম নিও৫জিসি। আর এই চিনি-ই মানুষের দেহে প্রদাহসহ ক্যান্সার সৃষ্টি করে। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া এবং সান ডিয়েগো স্কুল অব মেডিসিন এর যৌথ গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। এ গবেষণায় তারা ইঁদুরের দেহে নিও৫জিসি চিনি প্রয়োগ করেন। দেখা গেছে, এটি ক্যান্সার সৃষ্টিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে। তবে কিভাবে এটি ক্যান্সার ঘটাচ্ছে তা নিয়ে নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। তবে নিও৫জিসি সুগারের সঙ্গে ক্যান্সারের যে যোগসূত্র রয়েছে তা বোঝা গেছে।
মেডিসিন, সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার মেডিসিন এর খ্যাতিমান গবেষক এবং এ গবেষণার প্রধান অজিত ভারকি বলেন, এর আগে বিভিন্ন কৃত্রিম উপায়ে নিও৫জিসি সুগারের সঙ্গে ক্যান্সার পরিস্থিতির পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো কোনো প্রাণীর দেহে এই চিনির প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে যা মানবদেহে পাওয়া যায় না।
এর আগে দেখা গেছে, নিও৫জিসি সুগারকে মানবদেহের প্রোটিন শুষে নেয়। এটি নানা ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি করে। আর ক্রনিক প্রদাহ টিউমার সৃষ্টি করতে পারে, এ কথা সবাই জানেন।
ড. ভারকি আরো জানান, মানবদেহে এ চিনির প্রভাব নিয়ে ভবিষ্যত গবেষণার কাজগুলো আরো কঠিন হবে। তা ছাড়া রেড মিট অ্যাথেরোসক্লেরোসিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর জন্যেও দায়ী।
আমেরিকার ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এর অনলাইন সংস্করণ ‘প্রসিডিংস’-এ এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।