পেটের গ্যাস সমস্যা? কিভাবে প্রতিরোধ

পেটের গ্যাস সমস্যায় আমরা অনেকে ভুগলেও এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু এ সমস্যায় অনেকেই নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। এ বিষয়ে কয়েকজন চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে নিন।

গ্যাস ও বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খাওয়া হলে তার কি কোনো ক্ষতিকর প্রভাব আছে?- এ প্রশ্ন করা হয় চিকিৎসকদের।
পেটে গ্যাস ও তার প্রভাবে বমি বমি ভাব ও ব্যথা হতে পারে। এটা অস্বস্তিকর ও এতে পেট ব্যথারও হতে পারে। খাবার পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার কারণে সেখানে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হলে এ সমস্যা হয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্যাস নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সিমেথিকোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহৃত হয়। এটি পেটের ভেতরের গ্যাসের বুদবুদগুলোকে একত্রিত করে। ফলে গ্যাসগুলো সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে এবং পেটের চাপ কমে যাওয়ায় পেটের ভেতরের অস্বস্তি দূর হয়।
এ ধরনের ওষুধ শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত খেতে পারে। সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করলে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে ওষুধ খাওয়ার চেয়ে তা প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে ভালো। নিচে দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চলুন-

প্রতিরোধের উপায়-rupcare_acidity solution2
১. গ্যাস তৈরি হয়, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন
২. ধীরে ধীরে পানাহার করুন
৩. স্ট্র ব্যবহার করে পান করবেন না
৪. চুইংগাম ও শক্ত ক্যান্ডি পরিহার করুন
৫. কার্বনেটেড কোমল পানীয় ও বিয়ার এড়িয়ে চলুন। এগুলো কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে।

ভেষজ ওষুধ-
আর আপনি যদি গ্যাস সমস্যায় ওষুধ খাওয়ার ওপর বিরক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে নিচের ভেষজ চিকিৎসা ব্যবহার করতে পারেন-
১. খাওয়ার পর এক কাপ কড়া পুদিনা পাতার চা পান করুন
২. প্রাকৃতিক হজমি সেবন করুন
৩. খাওয়ার পরে কয়েক ফোটা তিতা খান
এ বিষয়ে একটি কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Reply