প্যাঁচানো পরোটা

78

বাংলাদেশে নানান রকমের পরোটা বানানো হয়। বাসা বাড়িতে আমরা যে ভাবে পরোটা বানিয়ে থাকি, সাধারণ বা মাঝারি মানের হোটেলেও সেভাবে বানিয়ে থাকে তবে এক এক হোটেল এক একভাবে কাই তৈরী করে থাকে ফলে স্বাদে অনেক তারতম্য হয়। আমি দেশের নানান আনাচে কানাচের হোটেলে সকালে নাস্তা খেতে গিয়ে নানান কিসিমের পরোটা খেয়েছি (মোটামুটি একই)। যাই হোক, পরোটা কারিগর জামাল ভাইর দেয়া রেসিপি অনুযায়ী কয়েকদিন আগে আমরাও বাসায় এই প্যাঁচানো পরোটা বানিয়েছিলাম। স্বাদ অসাধারণ। আপনারাও মাঝে মাঝে ঘরে এই রেসিপি অনুযায়ী পরোটা বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। আমরা সাধারনত বাসায় যে ধরনের পরোটা বানাই অনেকটা সেই রকমেরই! শুধু কাইতে কিছু অতিরিক্ত মালামাল যোগ করতে হবে, প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে, বেলার সময় প্যাঁচানো এবং ভালবাসা! হা হা হা… চলুন দেখে ফেলি।

পরিমান ও উপকরনঃ
– ময়দা, তিন কাপ (মোটামুটি এই তিন কাপে ৭টা পরোটা হবে, চাইলে আপনি বড় পরোটা বানাতে পারেন)
– পাউডারের দুধ, দুই টেবিল চামচ
– ডিম, একটা
– চাপা কলা, একটা (সাগর কলা বা যে কোন বিচি ছাড়া কলা ব্যবহার করতে পারেন)
– তেল, সয়াবিন, চার টেবিল চামচ (আর কিছু তেল ভাজা এবং বেলার জন্য রাখতে হবে)
– চিনি, এক চা চামচ
– লবন, হাফ চা চামচ (তবে কাই বানানো শেষে একটু মুখে দিয়ে দেখবেন, যদি কম মনে হয় সে ক্ষেত্রে লবন পানির সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন, লবন গুড়া দিলে সেটা মেশানো মস্কিল হবে)
– পানি, কুসম গরম পানি থেকে সামান্য বেশি গরম (বেশি গরম পানি দিলে পরোটা মচমচে হবে না, কাই দাঁতে লেগে যাবে)

প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে!)
পরোটার কাই প্রস্তুত করনঃ

ছবি ১


ছবি ২


ছবি ৩


ছবি ৪


ছবি ৫

পরোটা প্যাঁচানো এবং বেলে নেয়াঃ

ছবি ৬


ছবি ৭


ছবি ৮


ছবি ৯। এই প্যাঁচের জন্যই নাকি এই পরোটার নাম প্যাঁচানো পরোটা।


ছবি ১০


ছবি ১১

পরোটা ভাজাঃ

ছবি ১২


ছবি ১৩


ছবি ১৪


ছবি ১৫

পরিবেশনাঃ

ছবি ১৬। আমি কয়েকটা পরোটা তেল ছাড়া ভেজেছিলাম। পরিবেশনের প্লেটের উপরেরটা তেল ছাড়া ভাঁজা পরোটা। আপনারা আপনাদের ইচ্ছানুযায়ী তেল দিয়ে বা কম তেলে বা হালকা তেলে ভেজে খেতে পারেন।

স্বাদ অসাধারন। মোলায়েম বা তুলতুলে, আপনি আপনার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন তরকারী দিয়ে খেয়ে পারেন আর তরকারী না হলে নাই, শুধু সামান্য মিষ্টি দেয়া চা দিয়েই এই পরোটা খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে। আমার রান্না চেষ্টার বুলেট খেয়ে প্রশংসা করেছে।

Leave a Reply