বহু গুনের কমলার খোসা

কমলা খাওয়ার পর সাধারণত আমরা কমলার খোসা ফেলেই দিয়ে থাকি। কারণ আমাদের কাছে খোসা ফেলনা বস্তু। কিন্তু এই কমলার খোসা কিন্তু যতোটা ফেলনা আমরা ভাবি তা নয়। বরং এই ফেলনা কমলার খোসাই বহু গুণের আধার। আমাদের দেহের নানা সমস্যা দূর করতে এই কমলার খোসার জুড়ি নেই। প্রতিদিনের খাবারের সাথে বিশেষ করে রান্নায় এবং সালাদে বুদ্ধি করে কমলার খোসা ব্যবহার করে দেখুন কিছু শারীরিক সমস্যার দ্রুত সমাধান পাবেন।

১) কোলেস্টোরল কমায়

এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টোরল আমাদের হৃদপিণ্ডের শিরা উপশিরায় রক্ত কল্ট ও প্লাকের সৃষ্টি করে। এতে করে হৃদপিণ্ডে ব্লকের সমস্যা দেখা দেয়। কমলার খোসার অ্যান্টি কোলেস্টোরল উপাদান দেহ থেকে এই এলডিএল কোলেস্টোরল কমাতে সাহায্য করে। তাই কমলার খোসা কুচি করে খাবার বা সালাদ হিসেবে খেয়ে নিতে পারেন।

২) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে আমাদের দেহের ভালো কোষ থেকে অক্সিজেনের মৌল দূর হতে থাকে। এতে করে বাড়তে থাকে ক্যান্সার। কিন্তু কমলার খোসার কেমিক্যাল কম্পাউন্ড এই অক্সিজেনের মৌল কোষে ধরে রাখতে সহায়ক। সুতরাং দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি বাঁধা পায়। এতে করে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

৩) বুক জ্বালাপোড়া কমায়

দীর্ঘমেয়াদী বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন? খুব সহজেই কমলার খোসার মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারেন এই যন্ত্রণার। গবেষণায় দেখা যায় কমলার খোসার অ্যাক্টিভ কেমিক্যাল বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে স্থায়ী মুক্তি দিতে পারে। টানা ২০ দিন সাধারণ খাবারের সাথে কমলার খোসা কুচি খেয়ে দেখুন। ভালো ফল পাবেন।

৪) হজমের সমস্যা দূর করে

কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার। মাত্র ১০০ গ্রাম কমলার খোসায় পাবেন ১০.৬ গ্রাম ডায়াটারি ফাইবার। এই ডায়াটারি ফাইবার খাবার হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ২ কাপ পানিতে ১ টি গোটা কমলার খোসা ফুটিয়ে ১ কাপ হয়ে এলে সামান্য মধু মিশিয়ে তা পান করে নিন। ভালো ফল পাবেন।

৫) শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে

কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কমলার খোসার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা যেমন, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, ফ্লু এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

Leave a Reply