ঐতিহ্যবাহী মাঠা

77

মাঠা প্রচলিত বাংলায় যার অপর নাম ঘোল l অতি সুস্বাদু কিন্তু বেশ প্রাচীন পানীয়,কিন্তু বাংলা ভাষায় ঘোল শব্দটি অকারন নেতিবাচক দোষে দুষ্ট তাই আমরা হয়ত আমরা এখন ঘোল না বলে মাঠা বলাই শ্রেয় মনে করি l আচ্ছা যাক সেসব অপ্রয়োজনীয় আলাপ l আপনাকে বরং মাঠা তৈরির উপকরণ ও পদ্ধতি বলি l আমার জানা মতে ২ ভাবে মাঠা বানানো যায়,প্রথমে একটি বলে নেই পরে আর একটি বলছি —

 পদ্ধতি নং-১
উপকরণ-

টক দৈ (ঘরে পাতা ফুল ক্রিম দুধে তৈরী হলেই ভালো) ১ লিটার,

পানি ১ লিটার ,

চিনি ৬/৭ চামচ,

লবন সামান্য,

পেস্তা বাদাম বাটা ২ চামচ,

গন্ধরাজ লেবুর রস ২ চামচ (গন্ধরাজ লেবু না থাকলে পাতি লেবুও চলবে),

বরফ কুচি

প্রস্তুত প্রণালীঃ

টক দৈ কিছুটা পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিন,এবার ডাল ঘুটনি দিয়ে বেশ ভালো মত ঘুটতে হবে l কিছুক্ষণ পরে দেখবেন উপরে ক্রিম ভেসে উঠবে,সেগুলো তুলে ফেলুন l এবার একবার এইভাবে ক্রিমটা তুলে ফেলুন l এবার ওই ক্রেম তোলা টক দৈ তে বাকি পানি,চিনি,লবন,পেস্তা বাদাম বাটা,লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মাঠা l

পদ্ধতি নং- ২
উপকরণ-

ফুল ক্রিম তরল দুধ ৩ লিটার,

পানি ১/২ লিটার ,

চিনি ৮ চামচ,

লবন সামান্য,

পেস্তা বাদাম বাটা ২ চামচ,

গন্ধরাজ লেবুর রস ২ চামচ (গন্ধরাজ লেবু না থাকলে পাতি লেবুও চলবে),বরফ কুচি

প্রস্তুত প্রণালীঃ

দুধ ভালো মত জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন,ঠিক যেন ঘন হয়ে অর্ধেক হয় l দুধ ঠান্ডা হতে দিন l এবার ওই দইয়ের মতই ডাল ঘুটনি দিয়ে বেশ ভালো মত ঘুটতে হবে l কিছুক্ষণ পরে দেখবেন উপরে ক্রিম ভেসে উঠবে,সেগুলো তুলে ফেলুন,আরো দু-একবার এভাবে ক্রিম তুলে ফেলতে পারেন l এবার একে একে দুধ,পানি,চিনি,লবন,পেস্তা বাদাম বাটা,লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো মত l বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন l
এই হলো ঘোলের রেসিপি এখন আপনার ইচ্ছা আপনি কোন পদ্ধতি অনুয়ায়ী ঘোল খাবেন ও খাওয়াবেন,ওহ থুক্কু মাঠা খাবেন ও খাওয়াবেন ।

পুষ্টিগুণ-

মাঠার প্রধান উপাদান হলো ঘোল। ঘোল হলো মাখন বা পনির উৎপাদনের একটি উপজাত। ঘোলের মাঝে দুধের প্রায় সকল উপাদানই বিদ্যমান। তাই এর পুষ্টিগুন প্রায় দুধের মতই। নিয়মিত ঘোল বা মাঠা পান করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে। দুধের প্রোটিনের উপস্থিতির জন্য যারা দুধ খেতে পারেন না তারা দুধের বদলে মাঠা খেতে পারেন।

Leave a Reply